বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বিশ্বব্যাঙ্কের কাছ থেকে গ্রাম পঞ্চায়েত সশক্তিকরণ প্রকল্প (আইএজিপিপি) কার্যত আদায় করে নিয়ে আসেন। প্রথম পাঁচ বছর কাজের রিপোর্টে খুশি হয় বিশ্বব্যাঙ্ক। এর ফলে ২০১৭ সালে ফের ওই প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের জন্য ১৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। সেই পর্যায়ের কাজ শেষ হবে ২০২২ সালে। তার আগে অডিট করার উপরে জোর দিয়েছে পঞ্চায়েত দপ্তর। পাশাপাশি তৃতীয় পর্যায়ে যাতে বিশ্বব্যাঙ্ক থেকে অনুমোদন করা যায়, তার জন্য উদ্যোগী হতে নির্দেশ দিয়েছেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। শুক্রবার এই প্রকল্পের সঙ্গে কর্মীদের সংগঠন পঞ্চায়েত রুর্যাল ডেভেলপমেন্ট এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন ৫০ বছরের পরিষদীয় জীবন এবং তৃতীয়বার পঞ্চায়েত মন্ত্রী হওয়ায় সংবর্ধনা দেওয়া হয় প্রবীণ মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে।
তিনি বলেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা গত দশ বছরে গ্রামে অনেক কাজ করতে পেরেছি। রাস্তা, আলো, পানীয় জল, নিকাশি’র কাজ করা গিয়েছে। বিশ্বব্যাঙ্কও গ্রাম পঞ্চায়েতের পারফরম্যান্সে খুশি। তারা কাজের মূল্যায়ণ করে পুরস্কারও দিয়েছে। আগামী সপ্তাহে বিশ্বব্যাঙ্কের প্রতিনিধিরা ভার্চুয়াল বৈঠক করবেন। তাঁদের কাছে রাজ্যের কাজের অগ্রগতি এবং রিপোর্ট তুলে ধরা হবে। যাতে দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ যাতে পাওয়া যায়, তার জন্য আমি একা ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাঙ্কের ডাকা বৈঠকে যোগ দিতে গিয়েছিলাম। চীনের সঙ্গে টক্কর করে কাজের বরাদ্দ নিয়ে এসেছিলাম। বিশ্বব্যাঙ্কের প্রতিনিধিরা জানতে চেয়েছিল, চীনকে দেব না, আপনাদের দেব কেন? আমার উত্তরে খুশি হয়েছিল তাঁরা। এবার যাতে তৃতীয় পর্যায় অর্থাৎ আইএসজিপিপি-৩ আনতে পারি তার জন্য সব পঞ্চায়েতে অডিট করা দরকার হয়। কাজের স্বচ্ছতা আনতেই এই সিদ্ধান্ত। সকলের মতামত নিয়েই গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি কাজ করে। প্রত্যেকটি কাজের জিও ট্যাগিং করা হয়। যাতে বিশ্বব্যাঙ্কের প্রতিনিধিরা প্রতিমুহূর্তে অনায়াসে দেখতে পারেন। এই সব করেই আইএসজিপিপি-৩ যাতে চালু করা যায় সে ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়।
- ফাইল চিত্র