পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালে জোড়াসাঁকো এলাকায় এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী তাঁর দোকানের মধ্যেই নৃশংসভাবে খুন হন। অভিযোগ, চারজন অভিযুক্ত দোকানে ঢুকে তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুনের পর দোকান থেকে সোনাদানা হাতিয়ে চম্পট দিয়েছিল। পরে কলকাতা গোয়েন্দা পুলিস তদন্তে নেমে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে সমর্থ হয়। সেই খুনের মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত হল আসার ফিরদৌসি। যে বর্তমানে প্রেসিডেন্সি জেলে বিচারাধীন বন্দি হিসেবে রয়েছে। এই মামলার শুনানি চলছে আদালতে। ইতিমধ্যে সেই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণও শুরু হয়েছে। এই মামলার বিশেষ সরকারি আইনজীবী সন্দীপ ভট্টাচার্য মঙ্গলবার জানান, ওই বিচারাধীন বন্দির আইনজীবী এদিন কোর্টে জানিয়েছেন, জেলে তাঁর মক্কেল টাকা না দেওয়ায় কয়েকজন বন্দি তাকে মারধর করেছে। এরপরই বিচারক জেল সুপারের কাছে রিপোর্ট তলব করেন। সরকারি আইনজীবী বলেন, জেল সুপারের রিপোর্ট আদালতে জমা পড়লেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে। তাই এনিয়ে আগবাড়িয়ে মন্তব্য করা ঠিক নয়।
তবে এদিন এই বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক হইচই হয় বিভিন্ন মহলে। মানবাধিকার কর্মী রঞ্জিত শূর বলেন, জেলে যদি এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটে থাকে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক। এই ঘটনায় বন্দিদের মধ্যে যারা দোষী, তাদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে কড়া আইনি ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। যাতে আগামী দিনে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়। তাঁর কথায়, সংশোধনাগারের ভিতরে কোনও বন্দির থেকে টাকা না পাওয়ায় মারধরের ঘটনা মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল। তবে অনেকেরই বক্তব্য, জেলের ভিতরে যাতে এই ধরনের অপরাধ না ঘটে, সে বিষয়ে জেল কর্তৃপক্ষকে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। প্রয়োজনে দ্রুত ব্যবস্থাও নিতে হবে। না হলে সমাজে অন্য বার্তা যাবে।