কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, ৬ জুলাই শেষবার কোভিডের কারণে বিধাননগর পুর এলাকার এক বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছিল। তারপর থেকে করোনায় মৃত্যু শূন্য। রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, শেষ ২০ দিনে আক্রান্তের সংখ্যাও নিম্নমুখী। এই মুহূর্তে বিধাননগর পুর এলাকায় দৈনিক গড় আক্রান্তের সংখ্যা ১০ জন। এর মধ্যে গত ১৫ জুলাই, বৃহস্পতিবার সবচেয়ে বেশি মানুষ সংক্রামিত হয়েছেন। ওইদিন আক্রান্তের সংখ্যা ১৬। তবে মৃত্যু সংখ্যা শূন্য। এই দু’সপ্তাহের মধ্যে ১৭ এবং ১৯ তারিখ কোভিড পজিটিভ হওয়ার সংখ্যা সবচেয়ে কম। দু’দিনই ছ’জন করে বিধাননগরবাসী আক্রান্ত হয়েছেন। কী কারণে এই সাফল্য? বিধাননগর পুরসভার মুখ্য প্রশাসক কৃষ্ণা চক্রবর্তী জানিয়েছেন, পর্যাপ্ত সংখ্যায় টিকাকরণের জন্যই করোনার মৃত্যুর হার শূন্যতে নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে। তাঁর মতে, কোনও ওয়ার্ডে টিকা নেওয়ার জন্য ন্যূনতম চাহিদা থাকলেই, সেখানে তা পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
পুর কমিশনার দেবাশিস ঘোষ জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই প্রায় ৬০ হাজার মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়ে গিয়েছে। যার মধ্যে ৪৬ হাজার বাসিন্দা শুধুমাত্র প্রথম ডোজের টিকা পেয়েছেন। বাকি ১৪ হাজার মানুষের দু’টি ডোজই সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। চলতি সপ্তাহেও প্রথম ডোজের টিকাকরণ চলছে বলে পুরসভা সূত্রে খবর। একই সঙ্গে, সল্টলেক মাতৃসদন ও দেশবন্ধুনগর হাসপাতালে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের (৮৩৩৫৯৯৯০০০) মাধ্যমে দ্বিতীয় ডোজের টিকাকরণেও উল্লেখযোগ্য সাড়া পাওয়া গিয়েছে। সপ্তাহ শুরুর দু’দিনের মধ্যেই পরবর্তী সাতদিনের জন্য ভ্যাকসিন গ্রহণের সমস্ত স্লট বুক হয়ে যাচ্ছে। এমনটাই জানিয়েছেন পুরসভার এক আধিকারিক। রবিবার ছাড়া হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের মাধ্যমে প্রতিদিন ২০০ জনকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে বিধাননগর পুরসভা। তার মধ্যে দেশবন্ধুনগরের জন্য ১২০টি ডোজ ও সল্টলেক মাতৃসদনের জন্য বাকি ৮০টি ডোজ বরাদ্দ করা হয়েছে।