কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
আমতার জয়পুরের আর্জিনা বিবি, ঝিকিরার আনিশা বেগম, সেহাগোড়ীর কেয়া রায়,খালনার মমতা বোধকের।
রাজ্যে ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হতেই প্রতিদিন বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সামনে মানুষের লম্বা লাইন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এমনকী কোথাও কোথাও ভ্যাকসিনের অভাব থাকায় বিভিন্ন জায়গা থেকে অশান্তির খবরও এসেছে। এর ফলে বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের পাশাপাশি এমন শিশুদের মায়েরাও ভ্যাকসিন পাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন। এই অংশের মানুষের চিন্তা দূর করতে রাজ্য সরকার দুয়ারে ভ্যাকসিন প্রকল্প চালু করে। সেইমতো মাসখানেক আগে জয়পুরের ঝিকিরায় শিবির করে বিশেষভাবে সক্ষমদের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। এবার সোমবার বিশেষভাবে সক্ষম শিশুদের মায়েদের ভ্যাকসিন দেওয়া হল। এদিন ভ্যাকসিন নেওয়ার পর স্বভাবতই খুশি খালনার মমতা বোধক বলেন, ছেলে মায়োপ্যাথি রোগে আক্রান্ত। সারাদিন তার দেখাশোনা করতে হয়। এই ছেলেকে বাড়িতে রেখে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে ভ্যাকসিন নেওয়া আমার পক্ষে মুশকিল ছিল। সেহাগোড়ির কেয়া রায়ের বক্তব্যও এক। তিনি বলেন, ছেলে বিশেষভাবে সক্ষম। সব সময় তার কাছাকাছি থাকতে হয়। সে কারণে এতদিন ভ্যাকসিন নিতে যেতে পারিনি। তবে, এদিন এখানে টিকা নিতে পেরে স্বস্তি পেয়েছি। আশা ভবন সেন্টারের কর্ণধার জন মেরি বারুই বলেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এইসব শিশুদের দেখাশোনা করেন তাদের মায়েরা। এই ধরনের শিবির করার ফলে এই অংশের মহিলা এসে টিকা নিয়ে গিয়েছেন। আমতার বিধায়ক সুকান্ত পাল বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এইসব মায়েদের কথা মাথায় রেখেই এই শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে।