গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআই (মাওবাদী) দলের এই বিবৃতি ‘বর্তমান’ সংবাদপত্রের হাতেও পৌঁছেছে। এই বিবৃতি সত্যি হলে, কৃষক আন্দোলনের নেপথ্যে মাওবাদীরা রয়েছেন, বলে গত আট মাস ধরে কেন্দ্রীয় সরকার যে দাবি করে আসছিল, তাতে সিলমোহর পড়বে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। দু’পাতার এই বিবৃতির শুরুতেই, মাওবাদীদের কেন্দ্রীয় কমিটি গত বছর ২৬ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই আন্দোলনে শামিল কৃষকদের বৈপ্লবিক অভিনন্দন জানিয়েছেন। তেমনই, আন্দোলনে শহিদ কৃষকদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রী সংসদে নীরব থাকায় তাঁর তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে।
মাওবাদীরা তাঁদের এই বিবৃতিতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কৃষক আইন কার্যকরে স্থগিতাদেশ, ইলেকট্রিসিটি সংশোধনী বিলের (২০২০) খসড়া তুলে নেওয়ার ঘটনাকে এই কৃষক আন্দোলনের সাফল্য বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে দশ রাউন্ড আলোচনার পর কেন্দ্রীয় সরকার ও আন্দোলনরত কৃষকদের মধ্যে চলা বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন মাওবাদীরা। তাঁদের কথায় সরকারের এই আচরণ, কৃষক বিরোধী মনোভাবের পরিচয় দেয়।
পাশাপাশি, মাওবাদীরা কৃষক নেতা হরপাল সিং বেলারিকে ‘নকল নেতা’ বলে উল্লেখ করেছেন। হরপাল সিংয়ের বিরুদ্ধে তাদের অভিযোগ, শুরু থেকেই তিনি কৃষক আন্দোলনের সঙ্গে খালিস্তানি জঙ্গি ও মাওবাদীদের নাম জুড়ে দিয়েছেন। এই বিবৃতিতে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, আগামী বছর উত্তরপ্রদেশ সহ দেশের পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোট রয়েছে। এই ভোটে হিন্দু সাম্প্রদায়িক শক্তিকে (বিজেপি) পরাস্ত করার ডাক দিয়েছেন মাওবাদীরা।