গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
বন্যায় যাঁদের বাড়ি পুরোটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, তাঁদের ৭০ হাজার টাকা এবং যাঁদের আংশিক ক্ষতি হয়েছে, তাঁদের ৩৩০০ টাকা দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। গঠন করা হয়, ছয় সদস্যের কমিটি। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলির পঞ্চায়েত প্রধান, উপপ্রধান, বিরোধী দলনেতা, বিডিও, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সহ আরও এক আধিকারিককে কমিটিতে রাখা হয়। ওই পঞ্চায়েত এলাকার মোট ৭৩৯৪ জনের নাম এসেছিল। আর্থিক ত্রাণ বরাদ্দ করা হয় ৬৫৯৫ জনকে। মামলাকারীর আইনজীবী শ্রীজীব চক্রবর্তী আদালতকে জানান, সরকারি আর্থিক সাহায্য যাঁরা পেয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেকের মোবাইল নম্বর একটাই। আর সেখান থেকেই দুর্নীতির প্রাথমিক হদিশ মিলেছে। যা হরিশচন্দ্রপুর-১ এক নম্বর ব্লকের তৎকালীন বিডিও ও জেলাশাসকের চিঠি খুঁটিয়ে দেখলেই স্পষ্ট হবে। অথচ, প্রায় চার বছর পেরিয়ে গেলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। উল্টে, মামলাকারী আব্দুল মান্নানকে মারাত্মক হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
বিডিও তৎকালীন প্রধান সোনামণি সাহাকে লিখেছিলেন, যাঁদের নামের তালিকা ত্রাণ দেওয়ার জন্য আপনি পাঠিয়েছিলেন, সেখানে গুরুতর অনিয়মের হদিশ মিলেছে। অনিয়মগুলি হল, আর্থিক সাহায্য চাওয়া ৫৪ জনের একটাই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। ৩৯৯ জনের ক্ষেত্রে দু’টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। এভাবে ৪২, ১৯, ৭ ও ৬ জনের ক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ৩, ৪, ৫ ও ৬টি। সব অ্যাকাউন্টেই টাকা ঢুকেছে। ওই সরকারি কর্তা সাফ জানান, যেহেতু ওই সুপারিশের ভিত্তিতে টাকা দিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাই বিপুল পরিমাণ সরকারি টাকা নয়ছয় হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ২০১৯ সালের ২৭ ডিসেম্বরের মধ্যে ওই পঞ্চায়েত প্রধানের অভিমত চাওয়া হয়েছিল। অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়। অন্যদিকে জেলাশাসকের চিঠিতেও স্পষ্ট যে, এক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়েছে। তিনি একটি চিঠিতে বিডিওকে জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছিল। বিডিও যেসব দুর্নীতির হদিশ দিয়েছিলেন, সেগুলি ছাড়াও জেলাশাসকের চিঠিতে দেখা গিয়েছে, এমন ৫৫ জনকে ত্রাণের টাকা দেওয়া হয়েছে, যাঁদের নাম উপভোক্তার তালিকাতেই নেই। কিন্তু, এত কিছুর পরেও কেন উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না, প্রশ্ন তুলেছেন মামলাকারী।