কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, বিধানসভা ভোটের পর এই জেলায় অন্তত পাঁচটি পঞ্চায়েত হাতছাড়া হয়েছে বিজেপি’র। সব থেকে বড় ধাক্কা খেয়েছে মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলা। বিজেপি নেতা সুব্রত গিরি বলেন, আমাদের চারটি পঞ্চায়েত হাতছাড়া হয়েছে। আশা করছি, যাঁরা শিবির বদল করেছেন, তাঁরা আগামী ভোটের আগে ফিরে আসবেন। এই সাংগঠনিক জেলার মন্দিরবাজারে একটি, গাববেড়িয়া, রায়দিঘি পঞ্চায়েতের সদস্যরা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। অন্যদিকে, বাসন্তীর উত্তর মোকামবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কয়েকজন সদস্য দলবদল করায় সেটি হাতছাড়া হয়েছে। বলা ভালো, এই সব জায়গায় ভোটের আগে প্রার্থী বাছাই নিয়েও ব্যাপক গোলমাল হয়েছিল। দলীয় কর্মীরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখান। দলের প্রতি অসন্তোষ যে তখন থেকেই ছিল, সেটা আরও স্পষ্ট হল এই ভাঙনে।
বিধানসভা নির্বাচনে এই জেলায় বেশ কিছু আসনকে পাখির চোখ করেছিল গেরুয়া শিবির। তার মধ্যে মন্দিরবাজার, রায়দিঘি ও বাসন্তী ছিল। ফল ঘোষণার পর এই সব জায়গায় মূলত ভাঙন দেখা দেয় বিজেপিতে। তারা এর জন্য তৃণমূলের সন্ত্রাসকেই দায়ী করেছে। কিন্তু ওই সব এলাকায় কান পাতলে শোনা যায়, দলে অসন্তোষের কারণেই দলত্যাগ করেছেন অনেক কর্মী। যার খেসারত দিতে হচ্ছে দলকে। তবে ডায়মন্ডহারবার সাংগঠনিক জেলায় যে ক’টি পঞ্চায়েত বিজেপি এখনও নিজেদের দখলে রেখেছে, সেগুলি কতদিন ধরে রাখতে পারবে, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে নিচুতলার কর্মীদের গুরুত্ব না দেওয়ার জন্যই এই সমস্যার সূত্রপাত বলে দলের একাংশ মনে করছে। তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গড়ে ফাটল ধরাতে ডায়মন্ডহারবারের দলবদলু বিধায়ককে বিজেপি সামনে রেখে লড়াই করেও জিততে পারেনি। আসলে দলের গ্রহণযোগ্যতাই এখন তলানিতে। এই অবস্থায় দলের ভাবমূর্তি তুলে ধরতে সাবধানে পদক্ষেপ করতে চাইছে গেরুয়া শিবির। ডায়মন্ডহারবার সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি সুফল ঘাটুর বক্তব্য, কর্মীদের মনোবল ঠিক রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। কেন হঠাৎ করে দলের কিছু লোক অন্য দলে চলে গেলেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।