পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
তদন্তে নেমে প্রথমে রেলের ভিজিল্যান্স দপ্তরের অভ্যন্তরীণ রিপোর্ট খতিয়ে দেখে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাতে বলা হয়েছিল, অমৃতাভ চৌধুরী এখনও জীবিত। জালিয়াতি করা হয়েছে ভারত সরকারের সঙ্গে। রেলের তরফে করা লিখিত অভিযোগে বলা হয়, গত ২০১০ সালের ২৮ মে জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেসে ‘দুর্ঘটনা’ ঘটে। মৃতদের পরিবারকে সরকারি চাকরি ও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করে রেল। নির্দেশে বলা হয়েছিল, মৃত ব্যক্তির সঙ্গে ডিএনএ-র নমুনা মিলবে, এমন পরিবারের এক সদস্যকে চাকরি দেওয়া হবে। ক্ষতিপূরণ পেতে মৃত ব্যক্তির ডেথ সার্টিফিকেটও জমা দিতে বলা হয়। অভিযোগ, এখানে কারচুপি করেন অমৃতাভ। তাঁর ডেথ সার্টিফিকেট জমা দেয় পরিবার। বাবা মিহির চৌধুরী ও মা অর্চনা দেবী সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের আবেদন করে ৪ লক্ষ টাকা পান। ভুয়ো ডিএনএ রিপোর্ট দেখিয়ে অমৃতাভের বোন মহুয়া রেলে চাকরি জোটান। বর্তমানে শিয়ালদহ ডিভিশনে কর্মরত।
এই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে শনিবার তাঁদের বাড়িতে যান সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসাররা। তাঁরা দেখেন, রেলের অভিযোগ সঠিক। অমৃতাভ চৌধুরী জীবিত। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। প্রথমে যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি। নিজেকে অমৃতাভ নয় বলেও দাবি করেন। পরে বয়ান বদল করে এও জানান যে মিহির ও অর্চনা চৌধুরী তাঁর বাবা-মা নন। তাঁরা অন্যত্র রয়েছেন। সেই সংক্রান্ত নথি আনতে বলা হলে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন অমৃতাভ। তাঁর বোন অবশ্য সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে জাল নথি জমা দিয়ে চাকরি পাওয়ার কথা স্বীকার করে নেন। পরিবারের চার সদস্যকেই আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
২০১০ সালে রাতে মাওবাদী নাশকতায় ঝাড়গ্রামের সরডিহার কাছে লাইনচ্যুত হয় জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস। সেই সময়ে ডাউন লাইনে উল্টোদিক থেকে আসা একটি মালগাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষে ট্রেনটির ১৪৮ জনেরও বেশি যাত্রী মারা গিয়েছিলেন। অনেকের দেহই শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তদন্তকারীদের ধারণা, সম্ভবত সেই সুযোগকেই কাজে লাগান অমৃতাভ। এর পিছনে আরও ব্যক্তিদের জড়িত থাকার কথা সন্দেহ করা হচ্ছে। -ফাইল চিত্র