গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
বারাসত শহরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিধান পার্ক অন্যতম ব্যস্ত এলাকা। এই এলাকায় ছোট বড় মিলিয়ে দেড়শোর বেশি দোকান রয়েছে। এই ওয়ার্ড ছাড়াও পাশের ১৫, ১৭ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষ এই বাজারে আসেন। বাজার লাগোয়া এলাকায় প্রচুর ফ্ল্যাট ও বসতবাড়ি রয়েছে। জনবহুল এই বাজার লাগোয়া পুকুরটি দীর্ঘদিন ধরে আস্তাকুঁড়ে পরিণত হয়েছে। আশপাশের বাসিন্দারা রাতের অন্ধকারে ওই পুকুরে নোংরা, মৃত জন্তু ফেলেন বলে অভিযোগ। স্থানীয় দোকানের আবর্জনাও ওই পুকুরে পড়ে। বর্তমানে পুকুরের উপর প্রচুর কচুরিপানা তৈরি হয়েছে। এলাকার নোংরা আবর্জনা সঠিকভাবে পরিষ্কার না হওয়ায় এই পুকুরকে কার্যত ভ্যাট হিসেবে ব্যবহার করতে শুরু করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ফলে দুর্গন্ধের পাশাপাশি প্রচুর মশা জন্ম নিচ্ছে। এলাকার বাসিন্দা তথা পরিবেশপ্রেমী সুশান্ত কুণ্ডু বলেন, প্রায় ১২ কাঠা সরকারি পুকুরটিতে দীর্ঘদিন ধরে আবর্জনা পড়ে দূষণের কেন্দ্র হয়ে রয়েছে। জেলাশাসক, পরিবেশ দপ্তর, স্থানীয় পুরসভা, মৎস্য দপ্তরের বিভিন্ন স্তরে অভিযোগ জানানো হয়েছে। সম্প্রতি পুরসভা পুকুর থেকে কিছু আবর্জনা তুলেছে। কিন্তু তাতে বড় কোনও লাভ হচ্ছে না। ডেঙ্গুপ্রবণ বারাসতে মশা ও মাছির দাপটে এলাকায় টেকা দায় হয়ে উঠেছে। বারাসত পুরসভার প্রশাসক সুনীল মুখোপাধ্যায় বলেন, আমরা জানতে পেরে পুকুর সংস্কারের কাজ শুরু করেছি। ১০০-রও বেশি কর্মী লাগিয়ে কিছু আবর্জনা তোলা হয়েছে।