পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
মহেশতলা পুরসভার ১ থেকে ১০ নম্বর ওয়ার্ড হল মেটিয়াবুরুজ ও গার্ডেনরিচ লাগোয়া। ১১ থেকে ২০ নম্বর ওয়ার্ড বেহালা সংলগ্ন। বাকি বজবজ ট্রাঙ্ক রোড এবং গঙ্গার তীরবর্তী। বেহালা লাগোয়া ওয়ার্ডগুলিতে জল জমার যন্ত্রণা বাম আমল থেকে শুরু হয়েছে। তা এখনও অব্যাহত। নিচু এলাকা ভরাট করে অধিকাংশ বাড়ি হয়েছে। ফলে এখন জল বেরবার জায়গা নেই। শিবরামপুর বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন গ্রিনফিল্ড আবাসনের এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, গত দু’দিন ধরে আবাসন চত্বর জলমগ্ন। সব গাড়ির ভিতরে জল ঢুকে গিয়েছে। এখানে প্রায় ৫০০ পরিবারের বাস। জরুরি প্রয়োজনে বা কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যেতেও সমস্যা তৈরি হতে পারে। সেকারণে দ্রুত জলকষ্ট থেকে মুক্তি পেতে চাইছেন আবাসিকরা। নাগরিকদের কথায়, এবার এমন জল জমেছে যে, ঘরে থাকাই অসহনীয়। ২৪, ২৫, ২৬, ২৭, ২৮, ২৯ ওয়ার্ডগুলিতে অলিগলি ও রাস্তা জলের তলায়। হাঁটুর উপর জল বইছে সব দিকে।
মহেশতলা পুরসভার এক শীর্ষ আধিকারিক বলেন, ১৫টি খাল সংস্কারের জন্য অনেক আগে চিঠি দেওয়া হয়েছে সেচদপ্তরকে। গার্ডেনরিচে কলকাতা পুরসভার ছ’টি ওয়ার্ড রয়েছে। সেখানকার জমা জল বের করার জন্য মহেশতলা পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে একটি পাম্প বসানো হয়েছে। এছাড়া একটি খালকে বক্স ড্রেন করা হয়েছে। ওই পাম্প দিয়ে ভূর্গভস্থ নিকাশির মাধ্যমে সেই ড্রেনে জল এনে ফেলা হয়। এরপর তা মণিখালে ফেলা হয়। পলি জমে খালটির গভীরতা কমে গিয়েছে। এর ফলে পাম্প দিয়ে জল টানার সময় মহেশতলার পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের সংযোগকারী নিকাশিতে পলি ঢুকে যাচ্ছে হু হু করে। তাতে করে ওয়ার্ডগুলি আরও প্লাবিত হচ্ছে। এছাড়া সন্তোষপুর ও মুদিয়ালির ভূগর্ভস্থ নিকাশি সঠিকভাবে সাফাই হয় না। তার জেরে আরও জল জমে যাচ্ছে। এ নিয়ে কলকাতা পুরসভাকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।