পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এই বিষয়ে চাকদহ পুরসভার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর সুপ্রকাশ বিশ্বাস বলেন, ওই বাড়ির কাছেই হাসপাতাল ছিল। কেন প্রতিবেশীরা কেউ তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেন না, সেটাই বুঝতে পারছি না। চাকদহ থানার তরফে আমাদের জানানো হয়। এদিন মেডিক্যাল অফিসার আসার পর দেহটি উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত সম্প্রীতি মঞ্চের কাছেই আভারানি দেবী ছেলেকে নিয়ে থাকতেন। মায়ের পেনশনের টাকায় সংসার চলত দু’জনের। প্রতিবেশীদের কথায়, ছেলে দিনরাত মদ্যপান করতেন। বৃদ্ধা প্রায় তিন বছর হয়ে গেল কোমর ভেঙে শয্যাশায়ী। তাঁর পায়ের হাড়ও ভাঙা। বৃদ্ধা জানান, বৃহস্পতিবার মধ্য রাতে ছেলের মৃত্যু হয়। শুক্রবার সকালে ওই বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বিছানায় দেহটি পড়ে রয়েছে। আর বৃদ্ধা মা বসে রয়েছেন মাটিতে। নড়াচড়া করার ক্ষমতা হারিয়েছেন তিনি। লোক দেখলেই বলছেন, আমাকে একটু খাটে তুলে দাও। শরীর ভালো নয়। ছেলেটার সৎকারের ব্যবস্থা কর। এর মধ্যেই চাকদহ থানার পুলিস খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে। তারা জানায়, দেহটি দেখে স্বাভাবিক মৃত্যু বলেই মনে হচ্ছে। তাই পুরসভার কর্মীরা এসে দেহটি নিয়ে যাবেন। পুলিসের তরফ থেকেও পুরসভাকে জানানো হয়। অভিযোগ, এরপর দীর্ঘ সময় কেটে গেলও দেখা মেলেনি পুরসভার কর্মীদের। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ওই বৃদ্ধা মাটিতেই বসে থাকেন। অবশেষে বেলা ২টো নাগাদ পুর কর্মীরা এসে দেহটি নিয়ে যান। পুলিস মারফত খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন রেড ভলেন্টিয়ার্সরাও। তাঁরাও হাত লাগান দেহ উদ্ধারে। ওই প্রৌঢ়ের করোনা হয়েছিল কি না, তা জানতে পরীক্ষা করা হবে। তাই আপাতত দেহটি মর্গে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বৃদ্ধাকেও দেখভাল করা হয়। এক প্রত্যক্ষদর্শী অর্চনা চন্দ বলেন, করোনার ভয়ে সবকিছু দেখেও আমরা ভয়ে এগতে পারিনি। পুরসভাকে অনেকবার জানানো হলেও ওরা অনেক দেরি করে এসেছে।