দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
হুগলি গ্রামীণের পুলিস সুপার আমনদীপ বলেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। সমস্ত নাকা পয়েন্টকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের মন্ত্রী তথা স্থানীয় বিধায়ক বেচারাম মান্না বলেন, খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। এধরনের ঘটনা আগে সিঙ্গুরে ঘটেনি। ওই পরিবারের পাশে আমরা রয়েছি। একইসঙ্গে পুলিস প্রশাসনের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলব। স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মনোজবাবু সিঙ্গুরের সিংহের ভেড়ি এলাকার বাসিন্দা। তাঁর একটি টোটো আছে। তিনি আবার দিনমজুরের কাজও করেন। এদিন দুপুরে তিনি হরিপালের কানগুঁইতে শ্বশুরবাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখানে তাঁর স্ত্রী, দুই সন্তান ছিলেন। সন্ধ্যার দিকে টোটোয় করে তিনি স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় এই ঘটনা ঘটে। মৃতের স্ত্রী জানিয়েছেন, জাতীয় সড়ক থেকে নেমে একটি গ্রামীণ পথ দিয়ে সিংহের ভেড়ি যেতে হয়। সড়ক থেকে তাঁদের বাড়ির দূরত্ব মাত্র ৪০০ মিটার। গ্রামীণ সড়কের শুরুর অংশটা একটু শুনশান। এদিন ওই জায়গায় পৌঁছতেই দুই যুবক মোটর বাইক নিয়ে তাঁদের পথ আটকায়। তারপর তারা টাকা ও গয়না দাবি করে। মনোজবাবু প্রতিরোধ করতেই দু’জনের মধ্যে একজন আগ্নেয়াস্ত্র বের করে মনোজবাবুর মাথায় গুলি করে। রক্তাক্ত অবস্থায় তিনি লুটিয়ে পড়তেই দুষ্কৃতীরা মনোজবাবুর স্ত্রী ও মেয়ের গয়না নিয়ে দ্রুত চম্পট দেয়। অল্প সময়ের মধ্যে গোটা ঘটনাটি ঘটে যায়। দুষ্কৃতীরা চলে যেতেই মনোজবাবুর স্ত্রী ও ছেলেমেয়েদের আর্ত চিৎকারে পথচারী ও স্থানীয়রা চলে আসেন। তাঁরাই মনোজবাবুকে সিঙ্গুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।