কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
শহরের উত্তর থেকে দক্ষিণ থই থই জল। উত্তর কলকাতার মুক্তারামবাবু স্ট্রিট, কলেজ স্ট্রিট, বেচুবাবু স্ট্রিট, রাজা রামমোহন রায় সরণি, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ, ঠনঠনিয়া অঞ্চলে সারাদিন জল যন্ত্রণায় ভুগতে হয়েছে নাগরিকদের। অন্যদিকে, দক্ষিণে গড়িয়া, যাদবপুর, খিদিরপুর, গার্ডেনরিচ, বেহালার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বিশেষত সংযুক্ত কলকাতায় কোথাও হাঁচু সমান জল, কোথাও আবার তারও বেশি। দিন দশেক আগেও ভারী বৃষ্টিতে এই সব জায়গা জলমগ্ন হয়ে পড়েছিল। তবে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সেই জল নেমেও গিয়েছিল। তবে বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দফায় দফায় বৃষ্টির ফলে বিস্তীর্ণ অঞ্চলে এদিন রাত অবধি জল নামেনি। কলকাতা পুরসভার দাবি, শহরে বুধবার রাত ১০টা থেকে বৃহস্পতিবার বেলা ২টো পর্যন্ত ন্যূনতম ৬৫ মিলিমিটার থেকে ১৮৭ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে। চলতি বর্ষায় আপাতত এটাই রেকর্ড। সেইসঙ্গে এদিন গঙ্গায় জোয়ার ছিল। ফলে সেই সময় লক গেট খোলা যায়নি। পরে ভাটার সময় লক গেট খুলে দেওয়ায় ধীরে ধীরে জল নেমেছে।
এদিন সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে খিদিরপুরে জমা জলের পরিস্থিতি দেখতে যান ফিরহাদ হাকিম। বলেন, কলকাতার ভৌগোলিক অবস্থান, অতিভারী বৃষ্টি ও গঙ্গার উপর নির্ভরতা জল জমার অন্যতম কারণ। শহরে নিকাশি খালগুলির নাব্যতা কম থাকায় জল নামতে দেরি হচ্ছে। সেচদপ্তর ঠিকমতো কাজ করেনি। তাঁর টার্গেট যে প্রাক্তন সেচমন্ত্রীরা, নাম না করে তা বুঝিয়ে দিয়েছেন ফিরহাদ।
বাইপাস লাগোয়া সন্তোষপুরের ১০৩, ১০৮ এবং ১০৯ ওয়ার্ডের মাঝখান দিয়ে যাওয়া খাল বিদ্যাধরী নদীতে পড়েছে। সেই খালের নাব্যতা কম থাকায় দু’কুল ছাপিয়ে পার্শ্ববর্তী এলাকা জলমগ্ন হয়েছে। সেচ দপ্তর সূত্রে খবর, গত শীতে শহরের সবকটি খাল পরিষ্কারের কথা থাকলেও, তা হয়নি। বর্তমান সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র বলেন, খালগুলির অবস্থা নিয়ে আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করব। পরিকল্পনা করেই খালে জলের গতি বাড়ানোর পদক্ষেপ করা হবে।
কলকাতা পুরসভার নিকাশি বিভাগ বলছে, গত বর্ষায় যে সব অঞ্চলে জল জমেনি, সেখানেও এবার দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। কসবা, মুকুন্দপুর, যোধপুর পার্ক, গড়িয়াহাট, প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড, ঢাকুরিয়া, কুঁদঘাট, সন্তোষপুর, টালিগঞ্জ, পাটুলির মতো এলাকায় যথেষ্ট জল জমে রয়েছে। কোথাও মাছ ধরার ছবিও ধরা পড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, জল খুব ধীরগতিতে নামছে। যোধপুর পার্ক প্রথম লেনে গাড়ির উপর গাছ পড়ে বিপত্তি হয়। কোনওক্রমে প্রাণে বেঁচেছেন গাড়ির চালক। কলকাতা পুরসভা প্রায় ৪০০টি পাম্প চলিয়ে জোরকদমে জল নামানোর কাজ করছে। বিভিন্ন জায়গায় অন্তত ৩০টি হ্যান্ডপাম্প চালিয়ে জমা জল বের করার চেষ্টা চলছে।