কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
শুল্ক দপ্তর সূত্রে জানা যাচ্ছে, চীন থেকে আপেল বা নাসপাতি আনা সম্পূর্ণ বেআইনি। কারণ সেদেশের সঙ্গে ফল আমদানির চুক্তি নেই। অথচ চীনা আপেল ও নাসপাতির বাজার রয়েছে এখানে। কলকাতার বন্দর এলাকার অসাধু ব্যবসায়ীরা বেআইনিভাবে এই ফল নিয়ে আসছে। তবে সরাসরি এই ফল কলকাতায় আসছে না। চীন থেকে যাচ্ছে নেপাল বা বাংলাদেশে। সেখান থেকে সড়কপথে আসছে বন্দর এলাকায়। এই সব ফল মজুত করা হচ্ছে কাশীপুর এলাকার একটি হিমঘরে। সেখান থেকে তা ছড়িয়ে পড়ছে কলকাতা ও শহরতলির বাজারে।
এই ঘটনায় বন্দর এলাকার চার ব্যবসায়ীর নাম হাতে পায় শুল্ক দপ্তর। তাদের ডেরায় তল্লাশি চালালে কারবারিদের কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে জানা যায়, চীনের আপেল, নাসপাতি মজুত রয়েছে কাশীপুরের একটি হিমঘরে। সেখান থেকেই প্রয়োজন মতো ফল বের করা হচ্ছে। তার ভিত্তিতে ওই হিমঘরে হানা দিয়ে ২০ টন আপেল ও ১০ টন নাসপাতি বাজেয়াপ্ত করা হয়। চীনের যে বাগানে এগুলি চাষ করা হয়, সেখানকার স্টিকার লাগানো রয়েছে ফলের গায়ে। তা দেখেই অফিসাররা নিশ্চিত, এই ফল চীন থেকে আনা হয়েছে চোরাপথে।
জানা গিয়েছে, এই চোরাকারবারিদের সঙ্গে নেপাল ও বাংলাদেশের ফল ব্যবসায়ীদের যোগ রয়েছে। প্রথমে তাদের কাছে আসে এই ফল। এরপর তারা ফল রপ্তানিকারকদের মাধ্যমে সেগুলি এই রাজ্যে পাঠিয়ে দিচ্ছে।
শুল্ক দপ্তরের অফিসাররা জানতে পেরেছেন, যেখানে আমেরিকা বা কাশ্মীরের আপেলের দাম প্রতি টন আট থেকে দশ হাজার টাকা, সেখানে চীনা আপেল মিলছে টন পিছু দেড় হাজার টাকায়। যে কারণে ব্যবসায়ীদের মধ্যে এই আপেলের চাহিদা বাড়ছে। ক্রেতাদের কাছ থেকে কাশ্মীরী বা আমেরিকার আপেলের দাম নেওয়া হচ্ছে। ফলে ঠকছেন সাধারণ ক্রেতারা। এই ধরনের আপেল ধরতে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করেছে শুল্ক দপ্তর।