পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বিধানসভার অধিবেশন চলাকালীনই টের পাওয়া যায় বিধায়কদের কত ধরনের গাড়ি রয়েছে। বিধানসভা চত্বর ভর্তি হয়ে যায় স্করপিও, পাজারো থেকে জিপ কিংবা বাজারে আসা নয়া মডেলের গাড়িতে। এমনকী মান্ধাতা আমলের কয়েকটি অ্যাম্বাসেডরও নজরে পড়ে। আর এই স্রোতেই উল্টোদিকে সাঁতার কাটলেন মনোরঞ্জনবাবু। ব্যতিক্রমী হয়ে রইলেন এবারের বিধানসভা নির্বাচনে বলাগড় কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত তৃণমূলের মনোরঞ্জন ব্যাপারী। পেটের তাগিদে একসময় রিকশা টেনেছেন। এবার নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিনেও সঙ্গী ছিল প্যাডেল চালিত তিন চাকার যান। বিধায়ক হয়ে এবার টোটোয় চড়ে বিধানসভা এলাকা চষে বেড়াবেন মনোরঞ্জনবাবু। বুধবার টোটো কিনেছেন। জানিয়েছেন, মানুষের আশীর্বাদ, দয়া আর দানে নিজের একটা বাহন হল। এই বাহন নিয়ে পৌঁছে যাব এলাকার মানুষের দরজায়।
মনোরঞ্জনবাবুর সাফল্যের কথা সবাই জানে। আর এবার এলাকার মানুষের কাছে পৌঁছতে দামী চার চাকার গাড়ি ছেড়ে টোটোয় সওয়ার হয়ে নজির গড়লেন। কেন এই চিন্তাভাবনা? বিধায়কের বক্তব্য, আমি গরিব মানুষ। দামী গাড়ি কেনার ইচ্ছে বা সামর্থ্য নেই। আর বলাগড় বিধানসভার একটি বড় অংশ গ্রামীণ। তাই টোটোতে চড়েই বলাগড়ের অঞ্চলে অঞ্চলে ঘুরে বেড়াব। নিজের টোটো নিজেই চালিয়ে যাব প্রত্যন্ত অঞ্চলে।
জীবনের পুরনো দিনের কথা স্মরণ করে বলেছেন রিকশার চালানোর প্রসঙ্গ। কিন্তু তিনি চান না কেউ তাঁকে চালিয়ে নিয়ে যাক। তাই জনা কুড়ি মানুষের সাহায্যে একটি টোটো কিনেছেন। আর তা চালিয়ে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে যেতে চান। বিধানয়ক বলেছেন, আমি কারও কাছে ভীতিকারক হতে চাই না। চাই না কোনও দূরত্ব তৈরি হোক মানুষের সঙ্গে।
আর শুধুমাত্র টোটো নিয়ে নিজে ঘুরবেন, এমনটা নয়। জানান, আমি একা চড়ে বেড়াব না। বিধায়কের পরিকল্পনা, কোনও মুমুর্ষ রোগীকে টোটোতে করে হাসপাতালে পৌঁছে দেবেন। আবার এলাকার মানুষের বিশেষ প্রয়োজনে এই টোটোকে কাজে লাগানো হবে। শুধুমাত্র বিধানসভা এলাকায় ঘোরাঘুরি নয়, পেট্রোল, ডিজেলের বর্তমান মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদস্বরূপও এই টোটো বলে জানান বিধায়ক। এর আগে দেখা গিয়েছে, পেট্রোল, ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ব্যাটারিচালিত স্ক্রুটিতে করে নবান্নে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আবার বাড়ি ফেরার সময় নিজেও স্ক্রুটি চালিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীর বক্তব্য, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার পেট্রোল, ডিজেলের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে মানুষের জীবনকে দুর্বিসহ করে তুলেছে। তার প্রতিবাদ আমার টোটো। - নিজস্ব চিত্র