বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
থাকছে স্পেশাল ক্যাব সার্ভিসও। তবে জামাই ষষ্ঠীর বুকিং আগে থেকেই নেওয়া শুরু করেছে অনলাইন ক্যাব অপারেটর গিল্ড। শ্বশুরবাড়ি যাওয়া, খাওয়াদাওয়া করে ঘণ্টা ছয়েকের মধ্যে ফেরার জন্য খরচ দেড় হাজার টাকা। তার থেকে বেশি সময় শ্বশুরবাড়িতে থাকলে সেই মতো বাড়তি চার্জ। তবে বাইরে বেরনোর জন্য ই-পাসের ব্যবস্থা করতে হবে গ্রাহককেই, জানিয়েছেন এখানকার কর্তারা। যেহেতু আজ, বুধবার থেকে বেসরকারি অফিস খুলছে, বাজারহাটের সময়সীমায় বাড়ছে, তাই রাস্তায় বেরনো নিয়ে কড়াকড়িও কিছুটা কমবে বলেই ধারণা তাঁদের।
ট্রাভেল এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গলের পরিচালন কমিটির সদস্য দেবাশিস দে’র কথায়, ‘যখন শহর সচল ছিল, তখন ট্রাভেল সংস্থাগুলি কিলোমিটার পিছু ১৪ থেকে ১৫ টাকা নিত। তখন জ্বালানির দাম কম ছিল। কিন্তু এখন পেট্রল লিটার পিছু ১০০ টাকা ছুঁইছুঁই। কিন্তু তাতেও ১১ টাকা কিলোমিটারে জামাই ষষ্ঠীর বুকিং হচ্ছে।’ দেবাশিসবাবুর নিজের সংস্থা রিলায়েবল ট্রাভেলসেও জামাই ষষ্ঠীর বুকিং ভালো বলে জানিয়েছেন তিনি। কলকাতার বাইরেও জামাইরা যাওয়ার জন্য বুকিং করছেন। তিনি বলেন, ‘জামাই ষষ্ঠী উপলক্ষে যে প্যাকেজ বা ছাড় দিচ্ছি, তাতে আমাদের লাভ নেই। কিন্তু গাড়িগুলি দেড় মাসের উপর বসে আছে। বুকিং পেলে ড্রাইভারদের কিছু রোজগার হয়। তাই জ্বালানির দাম বাড়লেও আমরা সস্তায় বুকিং নিচ্ছি।’
কেন জামাই ষষ্ঠীতে যাওয়ার জন্য গাড়ির প্যাকেজে ভালো সাড়া পড়ছে? সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বক্তব্য, বাস বা ট্রেনের মতো গণপরিবহণ বন্ধ থাকায় সাধারণ অ্যাপ ক্যাবের খরচ অনেক বেড়েছে। আগে তারা একই দূরত্বে যে ভাড়া নিত, এখন তা প্রায় দ্বিগুণ। একই হিসেব বাইক ট্যাক্সিতেও। তাই সেই ঝামেলা বা অনিশ্চয়তায় যেতে চাইছেন না অনেকেই। তাই আগে থেকে গাড়ি বুকিং করছেন তাঁরা।
করোনাকালে জামাই ষষ্ঠীর মিষ্টিতে প্যাকেজ চালু হয়েছে। সঙ্গে অনলাইন ডেলিভারি। খাবারদাবারেও একই পথ ধরেছে হোটেল রেস্তরাঁ। এবার সেই তালিকায় নাম লেখাল গাড়িও। জামাইষষ্ঠী তাই এবার একটু অন্য স্বাদে। বাড়তি খরচেরও বই কী!