কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
ভিন রাজ্যে পা ফেলার কাজ শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল। এমনিতেই সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে পিকে তাঁর ‘ভবিষ্যদ্বাণী’ অক্ষরে অক্ষরে মিলিয়ে দেওয়ায় বিজেপি যথেষ্ট কোণঠাসা। এই সুযোগটাই কাজে লাগাতে চাইছে তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদক্ষেপ যত ভিন রাজ্যে পড়বে, ততই কপালের ভাঁজ চওড়া হবে গেরুয়া শিবিরের। আর এখানে অনুঘটকের কাজ করবে আইপ্যাক।
বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে রাজ্যে এসে নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহরা পণ করেছিলেন ‘অব কি বার ২০০ পার!’ বাংলা দখলের স্বপ্নে বিভোর গেরুয়া শিবিরকে তখনই পিকে’র চ্যালেঞ্জ ছিল—বিজেপি ১০০ আসন পার করতে পারবে না। যদি বিজেপি ১০০’র বেশি আসনে জয়লাভ করে, তাহলে নিজের কর্মক্ষেত্রই ছেড়ে দেবেন। ২ মে নির্বাচনের ফলে গেরুয়া শিবিরের স্বপ্নভঙ্গ হয় এবং প্রমাণ হয়, পিকে’র দাবি অমূলক ছিল না। বিজেপি জয় লাভ করে মাত্র ৭৭টি আসনে। তারপর থেকেই তৃণমূল শিবিরে ‘পিকে স্যার’কে ঘিরে আরও উন্মাদনা তৈরি হয়েছে। আর নতুন চুক্তির পর একুশের নির্বাচনে পিকে’র সংস্থা আইপ্যাক যেভাবে তৃণমূলকে সহযোগিতা করেছিল, আগামী দিনেও তা বহাল থাকছে। তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেছেন, ‘২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত পিকে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গেই থাকছেন।’ পাশাপাশি সৌগতবাবু আরও উল্লেখ করেন, ‘এবারের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের বিপুল জয়ের ক্ষেত্রে পিকের অবদান মানতেই হবে। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট মেশিনারি, নির্বাচনী কৌশল তৈরির ক্ষেত্রে আইপ্যাকের বিশেষ অবদান রয়েছে। ওর সংস্থার কর্মচারীরা দক্ষ। তাঁরা একেবারে তৃণমূল স্তরে পৌঁছে কাজ করেছেন।’
রাজ্যের ‘পরীক্ষা’ শেষ। আর তার ঠিক সঙ্গে সঙ্গেই জাতীয় স্তরে নেমে পড়েছেন প্রশান্ত কিশোর। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁকে দেখা গিয়েছে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিনের শপথ অনুষ্ঠানে। তারপর এনসিপি সুপ্রিমো শারদ পাওয়ার, সুপ্রিয়া সুলে, উদ্ধব থ্যাকারের সঙ্গেও এক দফা আলোচনা সেরে এসেছেন পিকে। সরকারিভাবে স্বীকার না করা হলেও রাজনৈতিক মহল কিন্তু দাবি করছে, বিষয়বস্তু ছিল একটাই—মহাজোট। একে একে অন্য রাজ্যেও পিকে যাবেন বলে কর্মসূচি স্থির হচ্ছে। মোদি বিরোধী ইস্যুও যে আছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে—পেট্রল-ডিজেলের দাম, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং অবশ্যই কৃষক আন্দোলন। জমি তৈরি হচ্ছে— ২০২৪ সালের... মিশন মমতার।