বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, হাওড়া শহরের বিভিন্ন জায়গায় ফুটপাতে যে বাজারগুলি বসে, সেখান থেকে এবার সার্ভিস চার্জ নেওয়া হবে। ফুটপাতের দোকান, বাজার-হাট থেকে পুরসভা এতদিন কোনও ফি বা চার্জ সংগ্রহ করত না। এখন তাদের কাছ থেকে জঞ্জাল অপসারণ বাবদ কিছু খরচ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অরূপবাবু। ফুটপাতের বাজারগুলি প্রায় প্রতিদিনই সকালে বসে এবং দুপুরে দোকানদাররা উঠে যাওয়ার সময় যাবতীয় বর্জ্য রাস্তার এক পাশে ডাঁই করে রেখে চলে যান। পুর-সাফাই কর্মীদের সেই জঞ্জাল তুলে নিয়ে যেতে হয় বেলগাছিয়া ভাগাড়ে। এই খাতে পুরসভা সামান্য হলেও কিছুটা আয় যেমন বাড়াতে চাইছে, তেমনই জঞ্জাল অপসারণ পরিষেবাকেও আরও উন্নত করতে চাইছে। অরূপবাবুর আশা, এই সিদ্ধান্তের ফলে পুরসভার যেমন আয় বাড়বে, তেমনই সাফাইয়ের কাজও ভালোভাবে হবে।
এছাড়া শহরের বিভিন্ন রাস্তা ও মোড় থেকে বেআইনি পার্কিং তুলে দেওয়ার ব্যাপারেও পুলিসের সঙ্গে কথা বলেছেন পুরকর্তারা। রাস্তা ও সরকারি জায়গা থেকে অবৈধ হোর্ডিং সরানোর ব্যাপারেও কথা হয়েছে। বৈঠকের পর অরূপ রায় বলেন, ২০১৯ সাল থেকে শহরের বিভিন্ন জায়গায় বেআইনি হোর্ডিং লাগানো রয়েছে। অনেক জায়গায় বেআইনি কার পার্কিংও রয়েছে। বিশেষত বঙ্কিম সেতুর উপরে অবৈধভাবে বাস, ট্যাক্সি পার্কিং করা হয়। বেআইনি হোর্ডিংগুলি খুলে ফেলার পর সেই ‘স্পেস’ নতুন করে নিলাম করা হবে। পার্কিংয়ের
জন্য হাওড়া সিটি পুলিসকে এলাকা চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে। যেখানে নির্দিষ্ট ফি দিয়ে গাড়ি পার্কিং করা যাবে। সূত্রের খবর, প্রায় দু’বছর কোনও নির্বাচিত পুরবোর্ড না থাকায় এবং আরও নানা কারণে হাওড়া পুরসভার অর্থভাণ্ডার কার্যত ফাঁকা। বর্তমান প্রশাসকমণ্ডলী সদ্য দায়িত্ব নিয়ে প্রথমেই পুরসভার আয় বাড়ানোর দিকে নজর দিতে চাইছে।