গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
এদিকে, এই বৈঠকে শহরের একাধিক মেট্রো প্রকল্পের কাজ পর্যালোচনা করা হয়। প্রকল্প রূপায়ণের কাজে যুক্ত আরভিএনএল এবং কেএমআরসিএলের কর্তারা বৈঠকে হাজির ছিলেন। রাজ্যের তরফে ছিলেন পরিবহণ মন্ত্রী ছাড়াও দপ্তরের প্রধান সচিব রাজেশকুমার সিনহা ও আধিকারিকরা। মেট্রো নির্মাতা সংস্থাগুলি মন্ত্রীকে আশ্বস্ত করে বলেছে, আগামী বছর জুন মাসের মধ্যে জোকা থেকে তারাতলা, শিয়ালদহ থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত মেট্রো চলাচল শুরু হয়ে যাবে। একইসঙ্গে গড়িয়া থেকে বিমানবন্দর রুটের একটা বড় অংশ খুলে দেওয়া হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। তবে একাধিক রুটে জমি জটের কারণে কাজ আটকে থাকার অভিযোগ করেন মেট্রো কর্তারা। পরিবহণ মন্ত্রী এই সমস্যার সমাধানে সমস্ত রকম সহায়তার আশ্বাস দেন।
এদিনের বৈঠকে রেল এবং পরিবহণ কর্তাদের পাশাপাশি কলকাতার পুলিস কমিশনার, কলকাতা পুরসভা এবং কেএমডিএ’র উচ্চপদস্থ কর্তারা হাজির ছিলেন। পরিবহণ দপ্তরের দায়িত্ব পেয়ে শহরের বিভিন্ন মেট্রো প্রকল্পের হাল-হকিকত বুঝে নেন ফিরহাদ সাহেব। এদিন সকালে তিনি শালিমার শিপইয়ার্ড পরিদর্শন করেন। সঙ্গে ছিলেন পরিবহণ সচিব রাজেশকুমার সিনহা এবং ডব্লুবিটিসি’র এমডি রজনভীর সিং কাপুর। জলপথ পরিবহণকে আরও উন্নত করার লক্ষ্যে শালিমার শিপইয়ার্ডকে নতুন করে গড়ে তোলার কথা জানান পরিবহণ মন্ত্রী। সংস্থার চেয়ারম্যান পদে রজনবীর সিং কাপুরকে এদিন দায়িত্ব দেন ফিরহাদ সাহেব। আগামী দিনে এই সংস্থার তৈরি বোট হুগলি নদীতে চলতে পারে বলে জানান পরিবহণ মন্ত্রী। উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত প্রায় ৬০০টি বোট বানিয়েছে শালিমার শিপইয়ার্ড। যার মধ্যে ভারতীয় নৌ বাহিনীকে কিছু দেওয়া হয়েছে। আগামী দিনে বিশ্বব্যাঙ্কের টাকায় রাজ্যের জলপথ পরিবহণকে ভিন্ন রূপ দিতে আন্তর্জাতিক প্রকল্প গ্রহণ করেছে রাজ্য। এক্ষেত্রে শালিমার শিপইয়ার্ডের তৈরি ভেসেল সহ রক্ষণাবেক্ষণের বিভিন্ন কাজ এই প্রকল্পের আওতায় আনা হবে বলে মন্ত্রী জানিয়েছেন।