পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, নদীয়ার তাহেরপুরের বাসিন্দা পেশায় ভ্যানচালক বছর ৪৮-এর নিতাই দত্ত বুকের তীব্র ব্যথা নিয়ে গত শনিবার স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি হন। সেখান থেকে চিকিৎসক তাঁকে কল্যাণীর গান্ধী হাসপাতালে রেফার করেন। সেখানে হার্ট ব্লক দেখে কর্মরত হাউসস্টাফ প্রথমে স্টেপটোকাইনেস জাতীয় ইঞ্জেকশন দেওয়ার উদ্যোগ নেন। সেই সময়ের ওয়ার্ডে রাউন্ডে এসে চিকিৎসক তন্ময় চৌধুরী রোগীর পরিস্থিতি বুঝে তড়িঘড়ি তাঁকে কয়েকটি পরীক্ষা করেই ক্যাথল্যাবে নিয়ে চলে আসেন। সেখানে অন্য আরেক চিকিৎসক সন্দীপ্ত রায়ের সহায়তায় শুরু হয় ঝুঁকিপূর্ণ অস্ত্রোপচার।
প্রথমে ওই রোগীর অ্যাঞ্জিওগ্রাফি করা হয়। সেখানে জানা যায়, তাঁর ডান করোনারি আর্টারি সম্পূর্ণ বন্ধ। সঙ্গে সঙ্গে অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করে তাঁর ডান করোনারি আর্টারি খুলে দেওয়া হয়। অস্ত্রোপ্রচার চলার সময় নিতাইবাবুর হৃদস্পন্দন থেমে পর্যন্ত যায়। এরপরেও ঝুঁকি নিয়ে সেই অপারেশন চালিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, কুঁচকির কাছে পেসমেকার বসিয়ে নেওয়ার ফলে ওই রোগীর অনেকগুলো বিপদ এড়ানো সম্ভব হয়। এরপর ডান করোনারি আর্টারিতে বাধা থাকার কারণে অস্ত্রোপচার করে সেখানে দু’টি স্টেন বসিয়ে দেওয়া হয়। প্রায় চার ঘণ্টার এই অস্ত্রোপচারের পর বিপন্মুক্ত রয়েছেন ওই রোগী।
বেসরকারি হাসপাতালে এই ধরনের অস্ত্রোপচার করতে লক্ষাধিক টাকা খরচ হয়। কিন্তু সরকারি এই হাসপাতালে এই ধরনের আধুনিক চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও এই ধরনের অস্ত্রোপ্রচার নিয়মিত হয় না বলেও অভিযোগ রয়েছে। ফলে ভুগতে হয় সাধারণ গরিব রোগীদের। এই ধরনের অস্ত্রোপচার নিয়মিত এখানে হলে উপকৃত হবেন বহু সাধারণ মানুষ। চিকিৎসক তন্ময় চৌধুরী বলেন, এই ধরনের অস্ত্রোপচারকে প্রাইমারি অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি বলে। এই ক্ষেত্রে রোগীকে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অস্ত্রোপচার করতে পারলে সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা থাকে। অন্যথায় হার্টের পেশির ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।