পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
সরকারি নির্দেশে বলা হয়েছে, প্রবীণ নাগরিকদের ক্ষেত্রে বাড়ির কাছাকাছি কোথাও টিকাকরণের ব্যবস্থা করতে হবে। কিন্তু এদিন কল্যাণীতে যেখানে টিকাকরণ কর্মসূচি হয়েছে, সেখান থেকে অনেকের বাড়ি তিন থেকে চার কিলোমিটারের বেশি দূরে। এত দূর থেকে বয়স্ক মানুষদের আসতে এমনিতেই সমস্যা, সেখানে আরও সমস্যা বাড়িয়েছে এদিনের বৃষ্টি। সেই সমস্যায় যাতে প্রবীণ নাগরিকদের না পড়তে হয়, তার জন্য পুরসভার কয়েকজন কো-অর্ডিনেটর দাবি করেছিলেন, দু’একটি ওয়ার্ড মিলিয়ে স্থানীয়ভাবে টিকাকরণের ব্যবস্থা করার। তাহলে গাদাগাদি ভিড় হওয়ার সম্ভাবনাও কম হতো। এই ক্ষেত্রে বাড়ি থেকে অনেকটা দূরেই আসতে হচ্ছে প্রবীণ মানুষদের।
তবে এদিন পুরসভার পক্ষ থেকে প্রত্যেক ওয়ার্ডের জন্য আলাদা টোটো এবং স্বেচ্ছাসেবকের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ভ্যাকসিন কেন্দ্রেও রাখা হয়েছিল আলাদা স্বেচ্ছাসেবক। কিন্তু স্বেচ্ছাসেবকদের অনেকেই বহু মানুষের সংস্পর্শে আসার পর প্রবীণ নাগরিকদের স্পর্শ করছেন। সেখান থেকে স্বাভাবিকভাবেই রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা থেকে যায়। কারণ, বিশেষজ্ঞদের মতে, বয়স্ক মানুষদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা স্বাভাবিকভাবেই কম থাকে। এই বিষয়ে কল্যাণী পুরসভার মুখ্য প্রশাসক সুশীলকুমার তালুকদার বলেন, কোভিডবিধি মেনেই এখানে টিকাকরণ হয়েছে। আজকে প্রথম দিন বলে একসঙ্গে করা হয়েছে। আগামী দিনে অসুস্থ মানুষদের যাতে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বা বাড়ি গিয়ে টিকা দেওয়া যায়, সেই ব্যবস্থা করব। অন্যদিকে, কল্যাণীর মহকুমা শাসক হীরক মণ্ডল বলেন, যাঁরা ওই টিকাকেন্দ্রে কাজ করছেন, তাঁদের সকলের ভ্যাকসিন হয়ে গিয়েছে। পরবর্তীকালে যদি দুই-তিনটি ওয়ার্ড মিলিয়ে দুশো-আড়াইশো লোক হয়, তবে ওই ওয়ার্ডগুলির কোনও একটি জায়গায় টিকাগ্রহণ করা যেতে পারে।