পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
হাওড়া জেলায় ঠিক ভোটের আগে আগে এক ঝাঁক তৃণমূল নেতা-মন্ত্রী-বিধায়ক গেরুয়া শিবিরে ভিড়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন বাছাই করা নেতানেত্রীকে বিজেপি তাদের চার্টার্ড ফ্লাইটে উড়িয়ে দিল্লি নিয়ে গিয়েছিল। সেখানে খোদ অমিত শাহের হাত থেকে বিজেপির পতাকা নিয়ে ফিরে এসে ডুমুরজলা স্টেডিয়ামে ‘যোগদান মেলা’য় রাজ্যে ‘আসল পরিবর্তন’ আনার ডাক দিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর আমূল বদলে গিয়েছে প্রেক্ষাপট। রাজনৈতিক মহল সূত্রে খবর, যে প্রাক্তন মন্ত্রীর দলবদলকে কেন্দ্র করে সবচেয়ে বেশি চর্চা হয়েছিল, তিনি তো বটেই, আরও কয়েকজন দলবদল করা নেতা ইতিমধ্যে তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছেন। মুকুল রায় সপুত্র তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর এ সংক্রান্ত চর্চা নতুন গতি পেয়ে গিয়েছে। এদিকে, বিধানসভা নির্বাচনে যাঁদের ছাড়াই জেলার ফলাফল ১৬-০ করা গিয়েছে, তাঁদের ফের দলে নেওয়ার যৌক্তিকতা নিয়ে ইতিমধ্যে দলের অন্দরে জোরালো প্রশ্ন তুলতে শুরু করে দিয়েছেন পদস্থ নেতারা। সব মিলিয়ে ফের হাওড়ার রাজনীতির বলয়ে দলবদল ইস্যুই প্রধান হয়ে উঠেছে।
ভোটের আগে চলে যাওয়া নেতানেত্রীদের ফের দলে নেওয়ার ব্যাপারে এখনও স্পষ্ট আপত্তি জানাচ্ছেন হাওড়া সদরের তৃণমূল চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায়। তিনি সাফ বলেন, মুকুল রায়ের বিষয়টি একটু আলাদা। তিনি দলের শুরু থেকে ছিলেন এবং ভোটের আগেও শিবির ছেড়ে পালাননি। কিন্তু যাঁরা যুদ্ধ শুরুর মুখেই বিরোধী শিবিরে ভিড়ে গেলেন, তাঁদের তো লজ্জা থাকা দরকার। তাঁরা তো আমাদের নেত্রীর নামে যা পেরেছেন, মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। নেত্রীও তাঁদের কুকীর্তির কথা সবার সামনে তুলে ধরেছেন। তবে দলে নেওয়া বা না নেওয়া আমাদের হাতে নেই। এটা নেত্রীর হাতে। তবে আমাদের হাজার হাজার কর্মীর অনুরোধ আমাদের কাছে আসছে, এঁদের যেন আর নেওয়া না হয়। তাছাড়া আরেকটি প্রশ্ন, যদি বিজেপি জিতত, তাহলে কি এঁরা এভাবে ফিরে আসতেন? এই বিষয়ে বিজেপির রাজ্য স্তর তথা হাওড়া জেলার পদস্থ নেতা সঞ্জয় সিং বলেন, আমাদের জাতীয় পার্টি। কাউকে জোর করে তো আর দলে আনা হয়নি। ফলে এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না এখন।