সংবাদদাতা, কল্যাণী: কল্যাণীর এনএসএস কোভিড হাসপাতালে এবার রোগীদেরকে পচা খাবার দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদার সংস্থার বিরুদ্ধে। এর আগেও ওই হাসপাতলের বিরুদ্ধে দালালচক্র সহ একাধিক বিষয়ে নিয়ে অভিযোগ উঠেছিল। এবার করোনা আক্রান্ত রোগীদের পচা খাবার সরবরাহ করায় রোগী এবং তাঁদের আত্মীয় পরিজনরা চরম ক্ষুব্ধ। অভিযোগ, রবিবার সকালে রোগীদের টিফিনে জন্য পাউরুটি, ডিম ও কলা হাসপাতালে এসে পৌঁছলে দেখা যায় বেশিরভাগ পাউরুটিতে ছত্রাক, কিছু কিছু কলা এবং ডিমের মানও ভালো নয়। বিষয়টি নজরে আসতেই হাসপাতালে অস্থায়ী কর্মীদের একাংশ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানোর পরে পুরো ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। যা নিয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ রোগীর পরিজনরাও। পরে অবশ্য চাপে পড়ে ওই ঠিকাদার সংস্থা খাবার বদলে দেয়। অভিযোগ, শুধু এদিনই নয়, এর আগেও ওই হাসপাতালের খাবারের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অনেকে বলেছেন, রাজ্য সরকার করোনা পরিস্থিতিতে বিপুল অর্থ খরচ করছে কোভিড হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসা পরিষেবা উন্নত করার জন্য। অথচ এক শ্রেণির অসাধু ঠিকাদার নিম্নমানের খাবার পরিবেশন করে প্রচুর মুনাফা অর্জন করার পাশাপাশি সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। শুধু তাই নয়, করোনা আক্রান্ত রোগীদের পুষ্টিকর খাদ্য খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা, সেখানে যদি খোদ হাসপাতালে এই ধরনের নিম্নমানের খাবার দেওয়া হয়, তবে স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টি চিন্তার এবং উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন রোগীর আত্মীয় পরিজনরা।
এই বিষয়ে কল্যাণীর মহকুমা শাসক হীরক মণ্ডল বলেন, অভিযোগটি মারাত্মক। যদিও পরে খাবার পাল্টে দেওয়া হয়েছে। জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরকে বলা হয়েছে ওই ঠিকাদারকে শোকজ করার জন্য। ওই হাসপাতালের এক অস্থায়ী কর্মী বলেন, পচা খাবার খেলে রোগীরা বিপদে পড়বেন ভেবেই আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাই। এর আগেও এখানে খাবার নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ঠিকাদার সংস্থার এক কর্মী বিজয় চৌধুরী বলেন, জেএনএম হাসপাতাল থেকে খাবার আসে। যখন এনেছিলাম, ওপরের কয়েকটা পাউরুটি দেখা হয়েছিল। পরে খারাপগুলো পাল্টে দেওয়া হয়েছে। রোগীর এক আত্মীয় পরিতোষ মাহাতো বলেন, হাসপাতাল থেকে রোগীদের জন্য এই ধরনের খাবার পরিবেশন করা অত্যন্ত আতঙ্কের ব্যাপার। রোগীদের সুরক্ষা নিয়েও প্রশ্ন থেকে যায়। আমরা চাই বিষয়টি নিয়ে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক।
অন্যদিকে, করোনা রোগীদের মানসিকভাবে স্বস্তি দিতে গানের তালে নাচলেন কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজের স্বাস্থ্যকর্মীরা। সম্প্রতি একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, সেখানে দেখা যায়, এই নাচের ছবি। বিষয়টি নিয়ে প্রশংসা করার পাশাপাশি অনেকেই হাসপাতালের মধ্যে জোরে গান বাজানো নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।