পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
মঙ্গলবার দুপুরে ববির সঙ্গে প্রেসিডেন্সি জেলে যেতে দেখা করতে যান তাঁর ‘সহযোদ্ধা’ তথা কলকাতা পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের অন্যতম সদস্য অতীন ঘোষ। সঙ্গে ছিলেন কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে অতীন ঘোষ বলেন, জেল সুপার মারফত কথা হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি, টিকাকরণ সহ যাবতীয় বিষয়ে প্রয়োজনীয় আলোচনা হয়েছে। আমরা ওর পাশে আছি। মানসিকভাবে প্রাথমিক একটা ধাক্কা হয়েছিল। তবে সেটা কাটিয়ে উঠেছেন। তিনি রাজ্যের মন্ত্রী এবং পুর প্রশাসক। তিনি যতটা দ্রুত সব দেখতেন, সেটা আমরা এতটা সহজে সামলাতে পারব না। সেই ব্যাপারেই প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছেন ফিরহাদ। তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন প্রশাসক বোর্ডের অপর সদস্য দেবাশিস কুমারও।
সোমবার সাতসকালে গ্রেপ্তার হন পরিবহণ মন্ত্রী। কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে প্রথমে নিজাম প্যালেস। তারপর দিনভর নাটকীয় টানাপোড়েন শেষে বর্তমানে ফিরহাদ হাকিমের ঠিকানা প্রেসিডেন্সি জেল। জেলে যাওয়ার সময় আবেগঘন হয়ে কেঁদে ফেলেছিলেন তিনি। জেল সূত্রে খবর, তাঁর শারীরিক অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল। শক্ত তক্তপোশে রাত কাটিয়েছেন। এদিন সকালে চা পান করেছেন। মর্নিং ওয়াক করেছেন, পড়েছেন খবরের কাগজ। জেলের সাধারণ খাবারই খেয়েছেন। খাবারের তালিকায় ছিল ভাত পাঁচ মিশালি ডাল, আলু ভাজা ও রুই মাছের ঝাল। বাড়ি থেকেও খাবার আসলেও, তিনি অবশ্য খাননি। দুপুরে চিকিৎসকরা মন্ত্রীর শারীরিক খোঁজখবরও নেন। এদিন তাঁর স্ত্রী এবং দুই কন্যা জেলে দেখা করতে গিয়েছিলেন। সূত্রের খবর, তাঁদের কাছে ফিরহাদের আক্ষেপ, কোভিড পরিস্থিতিতে আমি জেলবন্দি। শহরবাসীর জন্য কাজ করতে পারছি না। দেখা করার পর প্রায় প্রত্যেকেই জানিয়েছেন সেই আক্ষেপের কথা। করোনা মোকাবেলায় মানুষের পাশে না থাকতে পেরে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। তিনি নিজের স্ত্রী-কন্যাদের এই পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে থাকার জন্য বলেছেন। অহরহ সাহায্য চেয়ে ফোন আসলে, তাঁদের উপকার করতে বলেছেন পরিবারবর্গকে।
এই পরিস্থিতিতে ফিরহাদ হাকিমের পাশে দাঁড়িয়েছে চেতলা অগ্রণী ক্লাবও। ক্লাবের সম্পাদক সব্যসাচী রায়চৌধুরী জানিয়েছেন, ববি হাকিম কিন্তু নিজের হাতে টাকা নেননি। ক্লাবের একটি ছেলে সেই টাকা নিয়েছে। ফলে যাবতীয় দায় ক্লাবের ওপর বর্তায়। ওই টাকায় চেতলা অগ্রণী ক্লাবে একটি জিম তৈরি হয়েছে। তার হিসেব অডিটে দেখানোও হয়েছে। ক্লাব বিভিন্ন জায়গা থেকে অনুদান পেয়ে থাকে। বিষয়টি সিবিআই এবং ইডিকে লিখিতভাবে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান সব্যসাচী। তাঁর মতে, সেক্ষেত্রে তো ববি হাকিম তো (ফিরহাদ) দোষী নন। তবে তিনি, কেন থাকবেন জেলে!