আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সমাগমে আনন্দ বৃদ্ধি। চারুকলা শিল্পে উপার্জনের শুভ সূচনা। উচ্চশিক্ষায় সুযোগ। কর্মক্ষেত্রে অযথা হয়রানি। ... বিশদ
গুলিকাণ্ড নিয়ে চর্চার পাশাপাশি সত্যরঞ্জন শীলের বিপুল ক্ষমতাধর ‘সোনা’ হয়ে ওঠা নিয়েও বাঁশবেড়িয়ায় চর্চা শুরু হয়েছে। রেল সুরক্ষা বাহিনীর রাঁধুনীর কাজ করতেন ওই অভিযুক্ত নেতা। একাধিকবার তাঁর চাকরি নিয়ে টানাটানি হয়েছে। আবার কোনও মন্ত্রবলে তা ফেরতও পেয়েছেন। এমনই তাঁর ‘মহিমা’ বলে দাবি ঘনিষ্ঠ মহলের। বাঁশবেড়িয়া, ব্যান্ডেল, মগরা সহ সংলগ্ন এলাকায় কার্যত সমান্তরাল প্রশাসন চালাতেন ওই ব্যক্তি। অভিযোগ, স্ত্রীকে সামনে রেখে পুরসভার তো বটেই, ঠিকাদারির ক্ষেত্রেও একচেটিয়া রাজত্ব স্থাপন করেছিলেন ওই নেতা। এছাড়াও নানা সাদা, কালো ব্যবসায় তাঁর কর্তৃত্ব ছিল। যখন যে দল ক্ষমতায় থেকেছে, সেই দলের ক্ষমতাধর নেতাদের কাছাকাছি থাকার সুযোগ তিনি পেয়েছেন। তৃণমূল আমলে বাঁশবেড়িয়ার নিরঙ্কুশ নেতা হয়ে উঠেছিলেন। খুব পরিকল্পিতভাবে সমাজসেবার কাজেও নিজেকে জড়িত রেখেছিলেন। ফলে আমজনতার একাংশের সমর্থনে তাঁর দুর্গ আরও দূর্ভেদ্য হয়ে উঠেছিল। এবারের নির্বাচনী পর্বের আগে থেকেই শাসকদলের সঙ্গে তাঁর তালমিলের ক্ষেত্রে বিঘ্ন দেখা দেয়। অভিযোগ, বিরোধী রাজনৈতিক শিবিরেও ‘ইট’ পেতে রেখেছিলেন তিনি। নির্বাচনী ফলাফলে তৃণমূলের জয় হতেই তাঁর বিরোধী গোষ্ঠী সক্রিয় হয়ে ওঠে। তাঁর স্ত্রীকে পুরসভার ক্ষমতা থেকে সরানোর পরিকল্পনা আরও দানা বাঁধে। অভিযোগ, সেই প্রস্তুতিই রুখে দিতেই গুলি কাণ্ড ঘটান হয়। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। চন্দননগর কমিশনারেট ও জেলা পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিকাণ্ডের পর থেকেই সোনা শীল স্ত্রী সহ গা ঢাকা দিয়েছেন। তাঁকে খুঁজছে পুলিস। একইসঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগের তদন্তও শুরু হয়েছে। ফলে বাহুবলী নেতার জন্য পরিস্থিতি যে জটিল হচ্ছে, সেটা বলাই বাহুল্য।