পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বারাসতের বাণীকণ্ঠ নগর বি ব্লকে আভাদেবী ও তাঁর স্বামী ভাড়ায় থাকতেন। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে আভাদেবী জ্বরে আক্রান্ত হন। গত পাঁচ তারিখ আভাদেবীকে তাঁর স্বামী এলাকার এক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। ওই চিকিৎসক আভাদেবীর নানান কো‑মরবিডিটির কথা জেনে দ্রুত করোনা পরীক্ষা করার পাশাপাশি হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন। কিন্তু তাঁকে করোনা পরীক্ষা না করিয়ে বাড়িতে আনা হয়। শনিবার মধ্যরাতে আভাদেবী মারা যান। রবিবার সকালে তাঁর স্বামী একথা স্থানীয়দের জানালেও কেউ সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসেননি। করোনা পরীক্ষা না থাকায় কোনও চিকিৎসকও ডেথ সার্টিফিকেট দিতে চাননি। এরপর দুপুর ৩টে নাগাদ আভাদেবীর মৃতদেহ জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আভাদেবীর স্বামীর দাবি, তিনি অনেককে বললেও কেউ সাহায্য করতে এগিয়ে আসেননি। তাই তিনি অসুস্থ স্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারেননি। রবিবার সকালে সকলকে জানালেও কেউ সহযোগিতা করতে আসেনি। এলাকার তৃণমূল নেতা সিন্টু ঘোষ বলেন, আমরা কেউই বিষয়টি জানতাম না। রবিবার সকালে জানার পর চিকিৎসক ডেকে ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়া ও সৎকারের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু করোনা পরীক্ষা না হওয়ায় কোনও চিকিৎসক ডেথ সার্টিফিকেট দিতে চাননি। শেষ পর্যন্ত ৩টা নাগাদ জেলা হাসপাতালে মৃতদেহ পাঠানো হয়েছে।