রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে কালোবাজারির অভিযোগে পূর্ব যাদবপুর থানায় একটি কেস রুজু করে ইবি। জানা গিয়েছে, এখানে বিভিন্ন জায়গা থেকে চোরাপথে অক্সিজেন আসছে। বাড়তি দাম দিয়ে সেই সিলিন্ডার কিনছে রোগীর পরিবারের লোকজন। পূর্ব যাদবপুর এলাকায় বেশ কয়েকটি নামী হাসপাতাল রয়েছে। সেইসব হাসপাতালের বাইরে ইতিউতি ঘোরাফেরা করে দালালরা। যে সব রোগীর আত্মীয়রা রাজি হচ্ছেন, তাঁদের ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে দেওয়া হচ্ছে সিলিন্ডার। এই সিলিন্ডারগুলি আশপাশে কোনও জায়গায় মজুত করা হচ্ছে।
কারা এই বেআইনি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত, তার খোঁজ শুরু করেন ইবি’র অফিসাররা। জানা গিয়েছে, নিউটাউন এলাকার বেশ কিছু ফ্ল্যাট এবং গোডাউনে অক্সিজেন সিলিন্ডার মজুত করে রাখা হচ্ছে। অর্ডার এলে সেখান থেকে পাঠানো হচ্ছে সিলিন্ডার। এরপর ইবি’র একটি টিম বিধাননগর কমিশনারেটের অফিসারদের সঙ্গে নিয়ে নিউটাউন এলাকার গৌরাঙ্গনগরে হানা দেয়। সেখান থেকে তাপস হালদার নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাজেয়াপ্ত করা হয় সিলিন্ডার।
তদন্তে জানা গিয়েছে, অক্সিজেন পরিষেবা দেওয়ার নাম করে তারা একটি সংস্থা খোলে। এর আড়ালেই চলছিল সিলিন্ডারের কালোবাজারি। অনলাইন ছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় তারা ফোন নম্বর দিয়েছিল। পাশাপাশি দালালদেরও বাজারে নামানো হয়। এরাই বিভিন্ন হাসপাতালে ঘুরে ‘খরিদ্দার’ জোগাড় করে নিয়ে আসে। যাঁরা ওই নম্বরে যোগাযোগ করতেন, তাঁরা আদৌ পুলিসের লোক কি না, তা দরদাম করার আগে যাচাই করে নিত অসাধু কারবারিরা। রফা হয়ে গেলে অগ্রিম ৮০ শতাংশ টাকা অনলাইনেই নিয়ে নেওয়া হতো। এরপর নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছে দেওয়া হতো সিলিন্ডার। বাকি টাকা নেওয়া হতো সিলিন্ডার পৌঁছে দেওয়ার পর। জানা গিয়েছে, এই ক’দিনে সিলিন্ডারের কালোবাজারি করে কয়েক লক্ষ টাকা কামিয়েছে এই সংস্থার লোকজন। কলকাতায় ধরপাকড় চলছে বলে এই ব্যবসায় যুক্তরা ঘন ঘন গোডাউনও বদল করছে।