সংবাদদাতা, বসিরহাট: করোনাতে মৃত্যু হয়েছে বলে কেউ হাত না দেওয়ায় ১৬ ঘণ্টা পড়ে থাকল মৃতদেহ। রবিবার স্বরূপনগরের চারঘাট পঞ্চায়েতের দরগাতলায়। পুলিস জানায়, মৃতের নাম মন্টু দত্ত (৫০)। অবিবাহিত মন্টু বৃদ্ধা মায়ের সঙ্গে থাকতেন। গত কয়েকদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধও খাচ্ছিলেন। এদিন সকালে উঠে বৃদ্ধা মা দেখেন, ছেলে কথা বলছে না। পরে চিকিৎসক এসে মন্টুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মুহূর্তে এই মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ে। করোনা আক্রান্ত হয়ে মন্টুর মৃত্যু হওয়ায় সন্ধ্যা পর্যন্ত মৃতদেহ সৎকারের লোক জোটেনি। পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এক সপ্তাহ আগে স্বরূপনগর ব্লকের চারঘাট পঞ্চায়েত এলাকার ১৬১ নম্বর বুথে মন্টু দত্ত নামে এক ব্যক্তি করোনা পজিটিভ চিহ্নিত হন। তিনি বাড়িতেই আইসোলেশনে ছিলেন। এ দিন সকালে মৃত্যু হয় তাঁর। তবে করোনার ভয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত মৃতদেহ সৎকারের জন্য কেউ এগিয়ে আসেননি। বৃদ্ধা মা সন্তানের মৃতদেহ নিয়ে কুঁড়েঘরের বারান্দায় বসে ছিলেন। শেষ পর্যন্ত পুলিস ও স্থানীয় পঞ্চায়েতের প্রধান বাসন্তী বিশ্বাসের প্রচেষ্টায় দু’জন রাজি হওয়ায় গাড়ি ডেকে এনে মৃতদেহ বসিরহাট শ্মশানে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।
প্রধান বাসন্তী বিশ্বাস বলেন, সকাল থেকে মন্টু দত্তের দেহ সৎকারের জন্য প্রশাসনের সর্বস্তরে জানানো হলেও কেউ বিশেষ গা করেনি। যদিও করোনা আক্রান্তের দেহ সৎকার অথবা কবরস্থ করার জন্য একটি কমিটি হয়েছে। শেষে বাধ্য হয়ে দু’জনকে রাজি করিয়ে মৃতদেহ সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ বসিরহাটে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হয়েছে।