পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এই অভয়ারণ্যে একটা সময় রকমারি পাখিদের কলরব শোনা যেত। বহু পাখিপ্রেমী এখানে এসে ছবিও তুলতেন। কিন্তু সেসব এখন অতীত। গত বছরের সেই বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়ের পর থেকেই পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। এই অভয়ারণ্যের কর্মীদের দাবি, এখন আর সেভাবে পাখিরা আসে না। তার অবশ্য একাধিক কারণও জানালেন তাঁরা। বড় বড় গাছপালা যেমন ভেঙে পড়েছিল ঝড়ে, তেমনই জঙ্গলের ভিতরে থাকা তিনটি জলাশয় বহুদিন জলশূন্য। মাটির নীচে থাকা বালি জল শুষে নিচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। এবার ঠিক হয়েছে, একটি ৫০ ফুট লম্বা এবং ৯ ফুট গভীর জলাশয় তৈরি করা হবে। এই কাজ অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে মাটি যত কাটা হয়েছে, নীচ থেকে ততই বালি উঠে এসেছে। সেকারণে, এবার এই কৃত্রিম জলাশয়ের ভিতরটা কংক্রিট করে দেওয়া হবে, যাতে জল শুকিয়ে না যেতে পারে। বন বিভাগের কর্তাদের মতে, এই পদ্ধতিতে জলাশয় তৈরি করা হলে, অনেকদিন পর্যন্ত জল থাকবে। পাখিদের আনাগোনাও বাড়বে।
তাছাড়া যেসব প্রাকৃতিক জলাশয় শুকিয়ে গিয়েছে, সেখানে বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করা হবে। জেলা বনবিভাগের কর্তাদের মতে, কচুরিপানা এবং কাদা মাটি এনে সেখানে রাখা হবে। এই মাটি দিয়ে ধাপে ধাপে প্রলেপ দেওয়া হবে। তাতে জল একেবারে শুকিয়ে যাবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। এই অভয়ারণ্যে একটা সময় আদি গঙ্গা থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে জল আসত। কিন্তু তাতে নোংরা ঢুকছিল। তাই আপাতত সেটি বন্ধ রাখা হয়েছে। আগামীদিনে এই জল শোধন করে জলাশয়ে দেওয়া নিয়েও আলোচনা চলছে। পাশাপাশি বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করেও সেটি জলাশয়ে ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার আঞ্চলিক বন আধিকারিক মিলন মণ্ডল।