নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: বারাসতের নবপল্লি কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের ন’পাড়া শাখা থেকে গায়েব ৪৩ লক্ষ টাকা। ওই টাকা লকারে থাকার কথা ছিল। কিন্তু খোঁজ নিতে গিয়ে দেখা যায় সেখানে টাকা নেই। মিলছে না হিসেব। ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে শুক্রবার পুলিস শাখার ইনচার্জ, ক্যাশিয়ার সহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতদের শনিবার বারাসত জেলা আদালতে পেশ করা হয়। তিনজনকেই ১০ দিনের পুলিসি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, ধৃতদের নাম কৈলাস রায়, কুট্টি মজুমদার এবং অমিত ভদ্র। প্রথমজন ক্যাশিয়ার, দ্বিতীয়জন শাখা ইনচার্জ এবং তৃতীয়জন ব্যাঙ্ককর্মী। পুলিস ও ব্যাঙ্ক সূত্রে জানা গিয়েছে, ন’পাড়ার শাখায় যা টাকা থাকার কথা, তার চেয়ে অনেক গুণ বেশি ব্যালেন্স ছিল। নিয়ম অনুযায়ী, ওই শাখায় ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত রাখার কথা। কারণ, ওই টাকার বীমা রয়েছে। তার বেশি টাকা রাখার কথা নয়। নবপল্লি কো-অপারেটিভ কর্তৃপক্ষ বাকি টাকা মূল শাখায় জমা দিতে বলেছিল। কিন্তু, সেই টাকা জমা পড়েনি। তারপরই গত বৃহস্পতিবার নবপল্লি কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের একটি প্রতিনিধি দল সন্ধ্যার সময় ওই শাখায় সারপ্রাইজ ভিজিট করেন। সেখানে ৪৩ লক্ষ টাকা তছরুপের ঘটনা সামনে আসে। তারপরই শাখা ইনচার্জ, ক্যাশিয়ার সহ তিনজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। তার ভিত্তিতেই পুলিস তাঁদের গ্রেপ্তার করে।
নবপল্লি কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন চেয়ারম্যান চম্পক দাস বলেন, বৃহস্পতিবার সারপ্রাইজ ভিজিটে গিয়ে লকারের চাবি চাওয়া হয়েছিল। ইনচার্জ এবং ক্যাশিয়ার দু’জনের কাছেই চাবি থাকার কথা। কিন্তু, ক্যাশিয়ার জানায়, চাবি আড়াই মাস আগে হারিয়ে গিয়েছে। অথচ, তিনি কাউকে জানাননি। তারপর ডুপ্লিকেট চাবি দিয়ে লকার খুলে দেখা যায় প্রায় ৪৩ লক্ষ টাকা নেই। তারপরই পুলিসকে জানানো হয়। পুলিস জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।