বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
সোমবার কলকাতা পুরসভার কমিশনার বিনোদ কুমার, পুর স্বাস্থ্য বিভাগের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সুব্রত রায়চৌধুরী সহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্তাদের সঙ্গে উত্তীর্ণতে বৈঠক করেন ফিরহাদ হাকিম। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ভোটের থেকেও করোনা পরিস্থিতি সামলানো বেশি জরুরি। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন এ দিকে বেশি করে নজর দিতে। মন্ত্রী হিসেবে আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। এমন পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে দাঁড়ানো আশু কর্তব্য। সেইসঙ্গে ভ্যাকসিন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করেন ফিরহাদ। কেন পর্যাপ্ত পরিমাণ ভ্যাকসিন রাজ্যকে দেওয়া হচ্ছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। পাশাপাশি ৪৫ বছরের নীচে বা ১৮-২০ বছরের নাগরিকদের দ্রুত ভ্যাকসিনের আওতায় নিয়ে আসার দাবি করেছেন ফিরহাদ সাহেব।
ইতিমধ্যেই কলকাতা পুরসভা কিশোর ভারতী স্টেডিয়াম এবং সায়েন্স সিটির কাছে একটি বেসরকারি সংস্থার অব্যবহৃত অফিসে সেফ হোম এবং কোয়ারেন্টাইন সেন্টার খুলেছে। এ দিনের বৈঠকে ঠিক হয়েছে, ওই বেসরকারি সংস্থার অফিসকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রূপান্তরিত করা হবে। পাশাপাশি, উত্তীর্ণতে ৪০০ বেডের সেফ হোম তৈরি হচ্ছে। একইসঙ্গে আনন্দপুরে ও রাজারহাটে সেন্ট্রাল ফরেন্সিক ল্যাবরেটরির বিল্ডিংয়ে সেফ হোম তৈরি করা হবে। সব মিলিয়ে থাকবে ১৫০০ শয্যা। থাকছে ১০টি অ্যাম্বুলেন্স।
কলকাতা পুরসভার এক শীর্ষকর্তা বলেন, যে সব রোগী উপসর্গহীন বা কম উপসর্গযুক্ত তাঁদের মূলত সেফ হোমে রাখা হবে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন যে সব রোগীর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হবে বা স্থিতিশীল অবস্থায় চলে আসবেন, তাঁদের হাসপাতালে না রেখে সেফ হোমে এনে পর্যবেক্ষণে রাখার ব্যবস্থা হবে। যাতে হাসপাতালে বেডের আকাল না হয়, সেই জন্যই এই সিদ্ধান্ত। আবার, কোনও রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে দ্রুত সেফ হোম থেকে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। পাশাপাশি, মঙ্গলবার থেকে ফের শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে স্যানিটাইজেশনের কাজ শুরু করছে পুরসভা।