কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
চলতি বছর জানুয়ারির ৩০ তারিখ হঠাত্ই দাউ দাউ করে আগুন লেগে যায় দক্ষিণ দমদম পুরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন সংলগ্ন বাজারে। ঘিঞ্জি সেই বাজারে একের পর এক দোকান আগুনের গ্রাসে চলে যায়। দমকলের ৮টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বটে, কিন্তু গুটিকয়েক দোকান বাদে ততক্ষণে ভষ্মীভূত গোটা বাজারটাই। দোকান, কাঁচামাল, এমনকী পুঁজিটুকু হারিয়ে কার্যত পথে বসেন ১২৮ জন দোকান মালিক সহ প্রায় ৬০০ মানুষ। দমকলের প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে লাগা সেই আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশ কয়েক লক্ষ টাকা। বিপদে অসহায় মানুষগুলির পাশে দাঁড়ায় দক্ষিণ দমদম পুরসভা। নতুন করে দোকান তৈরির জন্য ব্যবসায়ীপিছু ১৫ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয় ঘটনার কয়েকদিনের মধ্যেই। সাহায্যে এগিয়ে আসে বাজার সমিতিও। নতুন করে শুরু হয় সুভাষনগর সুপার মার্কেট তৈরির কাজ। যা প্রায় শেষের পথে। আগামী মাসে ফের খুলবে বাজারটি।
দক্ষিণ দমদম পুরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর ধনঞ্জয় মজুমদার বলেন, নতুন করে মার্কেট গড়ে তোলার সময়ে আমরা নিরাপত্তার দিকেই অতিরিক্ত নজর দিয়েছি। বিদ্যুত্ সংযোগ আগে পাকাপোক্ত না থাকার কারণে বিপদ হয়েছিল। এবার আমরা নতুন করে তৈরির সময় সেগুলি অত্যাধুনিক করছি, যাতে শর্ট সার্কিট হলেই সমস্ত লাইন বন্ধ হয়ে যায়। বাজারের বাইরেও জায়গা বেশি রাখা হয়েছে আপৎকালীন সময়ের কথা মাথায় রেখে। প্ল্যান মাফিক দোকানগুলিও তৈরি হয়েছে। আগামী মাসের মধ্যে নতুন ভাবে সেজে ওঠা বাজারে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন ব্যবসায়ীরা।
ক্ষতিগ্রস্ত এক ব্যবসায়ী বলেন, করোনার সময়ে ব্যবসা চলেনি ঠিকমতো। ট্রেন বন্ধ থাকায় আমাদের বাজারও একপ্রকার বন্ধই ছিল। তাতেও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে প্রচুর। এরপর পুরো বাজার পুড়ে যাওয়ায় ফের ঘুরে দাঁড়ানোর কথা ভাবতেই পারছিলাম না। তবে এত তাড়াতাড়ি বাজারটি নতুন করে তৈরি হওয়ায় অনেকটা আশ্বস্ত বোধ করছি। - নিজস্ব চিত্র