কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
বর্তমানে কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্যবিভাগের হাতে নিজস্ব ১২-১৫টি অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। গতবছর করোনা রোগীদের চাপ সামলানোর জন্য কিছু বেসরকারি সংস্থার থেকে অ্যাম্বুলেন্স চুক্তিভিত্তিক ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরে আক্রান্তের সংখ্যা তলানিতে ঠেকে যাওয়ার পর প্রয়োজন ছিল না বলে চুক্তি আর নবীকরণ করা হয়নি। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে আবার নতুন করে সেগুলি নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছে কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গে আরও পাঁচটি শবদেহবাহী গাড়ি আসতে চলেছে পুরসভার হাতে। এখন পুরসভার নিজস্ব তিনটি এবং বেসরকারি সংস্থার থেকে চুক্তিতে নেওয়ার দুটি শববাহী যান কাজ করে। তার মধ্যে করোনা রোগীদের জন্য দু’টি ব্যবহার করা হয়। এদিকে, করোনা সংক্রমণের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। কপালে ভাঁজ পড়েছে পুর-প্রশাসনের। ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ১২০০ ছাড়িয়েছে। কিন্তু বর্তমানে ভোট পরিস্থিতিতে এখনই কন্টেইনমেন্ট জোন কিংবা কড়াকড়ি করা সম্ভব নয়। ফলে বাড়বাড়ন্ত শুরু হলে হাসপাতালের রোগীদের চাপ বাড়বে। এই প্রসঙ্গে কলকাতা পুরসভার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডক্টর সুব্রত রায়চৌধুরী বলেন, যা পরিস্থিতি তাতে সংক্রমণ কোনও পর্যায়ে পৌঁছবে তা মোটামুটি আঁচ করা যায়। চিকিৎসা পরিষেবা সংক্রান্ত যেন কোনও সমস্যা তৈরি না হয়, তার জন্য আমরা সব রকম প্রস্তুতি সেরে রাখছি।
একটা সময় করোনা সংক্রমণের প্রথম পর্যায়ে অ্যাম্বুলেন্স না পাওয়া নিয়ে নানা বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। চলতি বছর যখন সেই পরিস্থিতি ফিরে এসেছে, তখন শঙ্কিত প্রশাসন। এখন স্বাস্থ্য পরিষেবার ওপর চাপ বাড়বে। কারণ এটাই স্বাভাবিক। এই অবস্থায় যেন নতুন করে স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে পুরসভাকে প্রশ্নের মুখে না পড়তে হয়, তাই আগে থেকেই সতর্ক থাকতে চাইছে কর্তৃপক্ষ। করোনা রোগী বা করণা মৃতদেহ ছাড়াও অন্যান্য রোগী কিংবা মৃতদের যেন পরিষেবার ঘাটতি না হয়, সেদিকেই নজর দেওয়া হচ্ছে।