রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, জমি-জমা ও বাড়ির অংশীদারিত্ব নিয়ে কাকাদের সঙ্গে ভাস্করের ঝামেলা লেগেই থাকত। বুধবার সন্ধ্যায় দুই পরিবারের মধ্যে ঝগড়া লাগে। তুমুল বাগবিতণ্ডা চলাকালীন ভাস্কর কাকিমার মাথায় চপার দিয়ে আঘাত করে। সেখানেই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন সুজাতাদেবী। তাঁর স্বামী বাপি দাস সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ঘটনার সময় আমি বাড়িতে ছিলাম না। নিমতলা মোড়ে আমার মুদিখানার দোকান রয়েছে। অন্যান্য দিনের মতো ওইদিন রাতেও আমি দোকানে ছিলাম। প্রতিবেশীরাই এসে খবর দেয়, বাড়িতে তুমুল গোলমাল চলছে। গিয়ে দেখি, আমার স্ত্রী রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে রয়েছে। বাড়ির অন্যান্যরা বলে, তোমার ভাইপো কাকিমাকে মেরে পালিয়ে গিয়েছে। বাপিবাবু বলেন, ছোটবেলায় ভাস্করের মা মারা যাওয়ায় আমার স্ত্রীই ওকে বড় করেছে। কিন্তু কোনও এক অজানা কারণে ও কাকিমাকে সহ্য করতে পারত না। সব সময় বলত, কাকিমা তার সর্বনাশ করেছে। সেই আক্রোশের কারণেই ভাস্কর খুন করেছে বলে বাপিবাবুর অভিযোগ। এ বিষয়ে সাঁকরাইল থানার এক পদস্থ পুলিসকর্তা জানান, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। ভাস্করকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিসের ধারণা, সম্পত্তিগত বিবাদ থেকেই খুন। তবে এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিস। এদিন ভাস্করকে হাওড়া আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে দু’দিন পুলিস হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।