কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
সারা দেশের পাশাপাশি রাজ্যেও করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে। উলুবেড়িয়া পুরসভা এলাকাতে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির হার পুর আধিকারিকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। শুধু তাই নয়, বুধবার পুর এলাকায় প্রথম এক নাগরিকের মৃত্যু আধিকারিকদের চিন্তা আরও বাড়িয়েছে। পুরসভা সূত্রে খবর, বুধবার পর্যন্ত পুর এলাকায় করোনা আক্রন্তের সংখ্যা ২৬। পুরসভার পক্ষ থেকে পরীক্ষার সংখ্যার পাশাপাশি টিকাকরণের সংখ্যাও বৃদ্ধি করা হয়েছে। যদিও টিকার পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে পুরসভাকে। এজন্য আগামী দু’দিন ফুলেশ্বর, চেঙ্গাইল ও বাউড়িয়ায় টিকাকরণের কাজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার চেঙ্গাইল ও বাউড়িয়া এবং শনিবার ফুলেশ্বরে করোনা টিকাকরণ বন্ধ রাখা হয়েছে। এদিকে, করোনা পরিস্থিতির মাঝে দুইদিন তিনটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টিকাকরণ এভাবে স্থগিত রাখার সিদ্ধান্তে বিপাকে সাধারণ মানুষ। যদিও পুরসভার দাবি, যেহেতু পুরসভার মাতৃসদনে টিকাকরণের কাজ চলবে, তাই সাধারণ মানুষের কোনও সমস্যা হবে না।
গত কয়েকদিনে পুর এলাকায় করোনা বৃদ্ধির কথা স্বীকার করে নিয়েছেন উলুবেড়িয়া পুরসভার প্রশাসক অভয় দাস। তিনি জানান, ইতিমধ্যে করোনা পরীক্ষার পাশাপাশি টিকাকরণের লক্ষ্যমাত্রা বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও ভ্যাকসিন সরবরাহের ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা থাকায় এই পরিকল্পনা কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। তবে বিভিন্ন এলাকা স্যানিটাইজ করা ছাড়াও মানুষকে সচেতন করার জন্য নিয়মিত মাইকিং করা হচ্ছে। এছাড়াও আজ, শুক্রবার উলুবেড়িয়া মহকুমা শাসকের দপ্তরে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়েছে।