কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
বরো-২ তে বিষয়টি প্রথমে সামনে আসে। বুকিং করতে গিয়েও পাওয়া যায়নি। বিষয়টি নিয়ে কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিমের কাছে অভিযোগ জানান সিপিএমের ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর দেবাশিস মুখোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, নির্বাচনের জন্য কমিউনিটি হলের বুকিং বন্ধ রাখতে হবে, এমন কোনও নির্দেশিকা নেই। তার পরেও সাধারণ মানুষকে অসুবিধায় ফেলে কমিউনিটি হল বন্ধ রাখা হচ্ছে। অনেক গরিব মানুষ তাঁদের নানাবিধ অনুষ্ঠানের জন্য হল বুকিং করেন। তাঁরা এখন কোথায় যাবেন? যদিও বিষয়টি একদম রাজনৈতিক এবং নির্বাচনের কারণে কমিউনিটি হল বুকিং বন্ধ বলে জানাচ্ছে কলকাতা পুরসভা। এই বিষয়ে কলকাতা পুরসভার সংশ্লিষ্ট বরোর এক আধিকারিক বলেন, নির্বাচনের জন্য আগে থেকেই সমস্ত হলের বুকিং বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আগে যা বুকিং নেওয়া হয়েছে, সেসব ঠিক আছে। কিন্তু ১০ মার্চ থেকে আর নতুন করে কোনও বুকিং নেওয়া হচ্ছে না। নির্বাচনের খাতিরে এইসব হল বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়। তখন বুকিং নেওয়ার পর সেটা উপলব্ধ না করতে পারলে পুরসভার ঘাড়ে দায় চাপবে। সেই কারণেই আপাতত ২ মে পর্যন্ত সমস্ত হলে নতুন বুকিং নেওয়া বন্ধ।
শুধুমাত্র নির্দিষ্ট একটি এলাকা নয়। কলকাতার বিভিন্ন জায়গাতে কলকাতা পুরসভার একাধিক হলের বুকিং বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ১ নম্বর বরো কোঅর্ডিনেটর তরুণ সাহা বলেন, আমার নিজের অঞ্চলে দু’টি কমিউনিটি হল বন্ধ। নতুন করে কোনও বুকিং নেওয়া হবে না। বিরোধীরা রাজনীতির রং লাগাতে পারে। কিন্তু এটা নির্বাচনের প্রয়োজনেই বন্ধ রাখা হয়েছে।
কলকাতা পুরসভার সংশ্লিষ্ট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত তথা প্রশাসক বোর্ডের সদস্য দেবাশিস কুমার বলেন, সব জায়গায় বন্ধ এমনটা নয়। যেখানে যেখানে ভোটকেন্দ্র হচ্ছে, নির্বাচন কমিশন তাদের প্রয়োজনে যেখানে হল চাইবে, সেটা দিতে হবে। ফলে মানুষের অসুবিধা হলেও আমরা অপারগ। পুরো এপ্রিল মাস জুড়েই নতুন বুকিং বন্ধ থাকবে। আগে থেকে করা বুকিং নির্বাচনী প্রয়োজনে দরকার হলে আবেদনকারীকে ফোন করে সেটা আমরা জানিয়ে দিচ্ছি।