পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
অভিনব কায়দায় এই প্রতারণার ঘটনাটি ঘটেছে ৬ এপ্রিল। তপনবাবুর হোসিয়ারির ব্যবসা। মালপত্র কেনাকেটা করতে তিনি প্রায়ই কলকাতায় আসেন। ৬ এপ্রিল দুপুর ৩টে নাগাদ তিনি ব্রেবোর্ন রোডে এসেছিলেন। তখনই এই কীর্তি ঘটায় কেপমাররা। এরপরই তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। পরে তদন্তভার নেয় কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দা বিভাগ। যে এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে সেখানকার সিসিটিভির ফুটেজ জোগাড় করা হয়। তার ভিত্তিতে দু’জনকে চিহ্নিত করা হয়। জানা যায়, তারা পুলিসের কেউই নয়। এদের নাম মনোয়ার আব্দুল হামিদ শেখ এবং বিভাস মোর। এরপরই মঙ্গলবার তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। দু’জনকে জেরা করে পুলিস জানতে পারে, পুলিস সেজে তারা কেপমারির ঘটনা অনেকদিন ধরেই ঘটাচ্ছে শহর কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায়। মূলত ব্রেবোর্ন রোড, বড়বাজারের মত ভিড় বা সদা ব্যস্ত বাজার এলাকায় ব্যবসায়ীরা তাদের টার্গেটে থাকে। কোথাও সিবিআই অফিসার আবার কোথাও পুলিস পরিচয় দিয়ে ব্যবসায়ীদের পাকড়াও করত। এরপর ওই ব্যবসায়ীকে মিথ্যা মামলার ভয় দেখিয়ে সর্বস্ব লুট করত। তাদের চক্রে জনা পাঁচেক যুবক রয়েছে। এর মধ্যে একজন বড়বাবু সাজত। বাকিরা এদিক ওদিক ঘুরে বেড়াত। কাউকে পাকড়াও করার পর ভুয়ো বড়বাবুর কাছে আনা হতো। এরপর গাড়িতে তুলে লালবাজারে নিয়ে যাওয়ার নাম করে গোপন ডেরায় নিয়ে এসে সবকিছু নিয়ে নিত অভিযুক্তরা। তদন্তে নেমে এই তথ্যই উঠে এসেছে অফিসারদের। কলকাতা ছাড়াও অন্য রাজ্যে তারা এই কায়দায় কেপমারি করে বেড়াচ্ছে জানা যাচ্ছে। এর থেকে অফিসারা নিশ্চিত তারা আন্তঃরাজ্য কেপমারির চক্র চালাচ্ছে। দলে কারা কারা রয়েছে তা জানার চেষ্টা হচ্ছে। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে সোনার চেন, নগদ সহ মূল্যবান সামগ্রী।