পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, কোমল তাঁর স্বামী আশিসের সঙ্গে দাতিয়ানার গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন। রবিবার শ্বশুরবাড়িতেই কোমল গলায় দড়ি দেন। সোমবার সেই আত্মহত্যর ভিডিও ভাইরাল হয়। ভিডিওয় দেখা যায়, ২৫ বছরের কোমল ওড়না নিয়ে পাখায় বাঁধছেন। তারপর সেটি শক্তভাবে বাঁধা হয়েছে কি না, তা দেখছেন। ভিডিওয় পিছন থেকে তাঁর শ্বশুর বলছেন, দেখুন নিজে নিজেই গলায় দড়ি দিচ্ছে। পুলিস সুপার অর্পিত বিজয়বর্গীয় বলেন, তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন চাইলে বধূকে বাঁধা দিতে পারতেন। তাঁকে বাঁচাতে পারতেন। কিন্তু তা না করে গোটা ঘটনার ভিডিও করেছেন।
এদিকে কোমলের বাবা-মায়ের অভিযোগ, ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে কোমল ও আশিসের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই কোমলকে পণের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল। কোমলের বাবা বলেন, ‘মেয়ের বিয়ের সময় আমি পাঁচ লক্ষ টাকা এবং একটি বাইক দিয়েছিলাম। কিন্তু আশিসের বাবা দেবেন্দ্র, মা সবিতা এবং ভাই শচীন তাতে খুশি ছিল না। ছ’মাস আগে তারা কোমলকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। পরে মেয়েকে বুঝিয়ে শ্বশুরবাড়ি পাঠানো হয়। কিন্তু মাস খানেক আগে ফের তারা ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দাবি করে। এমনকী আশিস এমনও হুমকি দেয় যে, টাকা না পেলে সে অন্য কাউকে বিয়ে করে নেবে।’ এই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরেই কোমল আত্মহত্যা করেছে।