পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এই ছঘড়ি মোড়ে দু’দিন আগে সভা করে গিয়েছেন এলাকার তৃণমূল প্রার্থী নিয়ামত শেখ। যথেষ্টই সাড়া পেয়েছিলেন। তার একদিন পর কংগ্রেসও তাদের দলের প্রার্থী আলমগীর মিরের সমর্থনে সভা করে। তাদের কর্মসূচিতেও ভিড় হয়েছিল। স্থানীয়রা বলছেন, এটা হওয়ায় স্বাভাবিক। এই বিধানসভা কেন্দ্রে কংগ্রেসের আধিপত্য বহুদিন ধরেই রয়েছে। পরে তৃণমূল সংগঠন তৈরি করে। কিন্তু এতকিছুর মাঝেও কংগ্রেস দুর্বল হয়ে গিয়েছে, এমনটা ভাবার কারণ নেই। গত বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল ৩৮শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছিল। কংগ্রেসের ভোট ছিল ৩৫শতাংশ। সেবার সিপিএমের সঙ্গে এখানে জোট হয়নি। কিন্তু এবারের নির্বাচনে জেলার অন্যান্য বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতে জোটে ফাটল দেখা দিলেও এখানে সিপিএম এবং কংগ্রেস হাত ধরাধরি করে লড়ছে। ২০১৬ সালের নির্বাচনে সিপিএম ২১ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। তাই এই কেন্দ্রে এবারও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে অনেকেই মনে করছেন। কংগ্রেস প্রার্থী বলেন, মানুষের কাছে গিয়ে যথেষ্ট সাড়া পাচ্ছি। তৃণমূল এই এলাকায় অনেক অনিয়ম করেছে। আমরা সেগুলি তুলে ধরছি। তৃণমূল প্রার্থী বলেন, কংগ্রেস এখানে তো কোনওদিন কাজ করেনি। আগামী দিনেও পারবে না। কারণ ওরা রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে পারবে না। হরিহরপাড়ায় যা কাজ করার আমরাই করেছি।
এলাকার বাসিন্দারাও বলছেন হরিহরপাড়ায় কাজ হয়েছে। এই বিধানসভা কেন্দ্রের বাসিন্দা ইব্রাহিম শেখ বলেন, কয়েক বছর ধরে অসুস্থ রয়েছি। স্ত্রী স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। সেখান থেকে টাকা পায়। কয়েক মাস আগে ও অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকায় নার্সিংহোমে গিয়ে বিনামূল্যে অপরেশন করেছি। এখন সুস্থ হয়ে গিয়েছে। সরকার বাংলা আবাস যোজনা প্রকল্পে বাড়িও তৈরি করে দিয়েছে। আর কী চাই। তিনি আরও বলেন, মেয়ে কন্যাশ্রীর টাকা পাচ্ছে। দশম শ্রেণীতে পড়াশোনা করছে। কন্যাশ্রী প্রকল্পের সুবিধা না পেলে মেয়ে এতদূর পড়াশোনা করতে পারত না। আমার মেয়ের মতো আরও অনেকেই শিক্ষিত হচ্ছে।
স্থানীয়রা বলছেন, শিক্ষার আলো হরিহরপাড়াকে বদলে দিয়েছে। এখন আর রোজ বোমাবাজি বা গুলি চলে না। রক্তঝরাও কমে গিয়েছে। একসময় সারাক্ষণই পুলিসকে ছুটতে হতো। এখন থানার সামনে ডিয়ার পার্ক তৈরি হয়েছে। হরিণের দল খেলা করে বেড়াচ্ছে। হরিহরপাড়ার বাতাস এখন স্বজন হারানোর কান্নায় ভারী হয় না। বিস্ফোরণের শব্দে দিনের শুরু হয় না। শান্তি ফিরেছে। তাই থানার অনেক পুলিস কর্মীও হরিণের গায়ে হাত বুলিয়ে সময় কাটান।