গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
শনিবার দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে গোপালনগরের ভাণ্ডারখোলায় নির্বাচনী জনসভা করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা আসবেন জানতে পেরেই শুক্রবার ন’হাটায় মেয়ের বাড়িতে চলে আসেন লীলা দেবী। বনগাঁ মহকুমার যে কোনও জায়গায় মমতার সভা হলেই ছুটে যান তিনি। বার্ধক্যের কারণে শরীরে নানা অসুখ বাসা বেঁধেছে। তবুও মমতার সভায় আসা চাই তাঁর। কয়েক মাস আগে মমতার সভায় ভিড়ের কারণে মাঝপথ থেকেই ফিরে যেতে হয়েছিল লীলাদেবীকে। তাই এদিন দেরি না করে সাতসকালেই সভাস্থলে চলে এসেছেন তিনি।
দুপুর ১টায় আকাশে হেলিকপ্টার দেখেই মঞ্চের দিকে এগিয়ে যান লীলাদেবী। নিরাপত্তা রক্ষীরা বাধা দিলে পাশেই একটি চেয়ারে বসে পড়েন তিনি। প্রায় ২৫ মিনিট বক্তব্য রাখেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বক্তব্য শেষ হতেই আবার মঞ্চের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন লীলাদেবী। আবারও বাধা দেন নিরাপত্তা রক্ষীরা। লীলাদেবীর কাতর আর্জি, ‘আমি কিছু চাই না। মমতাকে ভালোবেসে আসি। একটিবার আমাকে যেতে দিন।’ শেষ অবধি যাওয়ার অনুমতি মেলেনি। বাধা পেয়ে ছুটে যান হেলিপ্যাডের দিকে। ততক্ষণে হেলিকপ্টারের পাখার গতি বেড়ে গিয়েছে। লীলাদেবীর হাসিখুশি মুখে হঠাৎই যেন আঁধার ঘনিয়ে এল। হেলিকপ্টার মিলিয়ে যেতেই ঝাপসা হয়ে এল এই অশীতিপর বৃদ্ধার দু’চোখ। নিরাপত্তা রক্ষীদের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়ে বললেন, ‘মমতা জানতে পারলে ঠিক আমাকে ডেকে নিত। ওরা জানালো না। ইচ্ছা ছিল মমতার সঙ্গে একটা ছবি তুলব।’ ছল ছল চোখে বাড়ির দিকে পা বাড়ালেন বৃদ্ধা।