গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
একুশের মহাযুদ্ধে বাজিমাত করে তৃতীয়বার কুর্সি দখলে তৎপর ঘাসফুল। এমাসের ৬ তারিখ রাজ্যের প্রথম রাজনৈতিক দল হিসেবে পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করে সেই বার্তাই দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এর জন্য উত্তর শহরতলির গুরুত্বপূর্ণ আসনগুলির মধ্যে অন্যতম দমদমে নেত্রীর ভরসা ব্রাত্য বসুই। তারপর কেটেছে সবে তিনদিন। কিন্তু ইতিমধ্যেই দমদম কেন্দ্রের অধিকাংশ দেওয়াল ব্রাত্যময়। এই পর্যায়ের দাঁড়িয়ে বিরোধী বিজেপি আর জোটের প্রার্থী পদ ঘোষণা না-হওয়ায় দেওয়াল দখলেও কল্কে পায়নি তারা। অর্থাৎ লড়াইয়ের প্রথম পর্যায়েই তারা পিছিয়ে। এদিকে, শুধুমাত্র প্রার্থীর সমর্থনে দেওয়াল লেখা নয়, প্রচারে এবার আনা হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার বিরোধী একাধিক ইস্যুকেই। মূলত বৈচিত্র্যের মাধ্যমে ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা চালাচ্ছে ঘাসফুল শিবির। তার জন্য নানা দেওয়াল জুড়ে জায়গা করে নিচ্ছে নজরকাড়া কার্টুন চরিত্র। থাকছে রাজনৈতিক বিষয়ও। ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদির প্রতিশ্রুতির ১৫ লক্ষ টাকা থেকে রান্নার গ্যাস হাজার ছুঁই ছুঁইয়ের মতো বিষয়কে তুলে ধরা হচ্ছে দেওয়ালজুড়ে। সেইসঙ্গে তৃণমূল আমলে চালু হওয়া একাধিক বিষয়কেও তুলে ধরা হচ্ছে। থাকছে, ‘বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়’ থেকে ‘খেলা হবে’র মতো কিছু স্লোগান। দমদম কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী ব্রাত্য বসু বলেন, পুরোদমে দেওয়াল লেখায় জোর দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই অধিকাংশ কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। বাকি অংশগুলিও শেষ হয়ে যাবে শীঘ্রই। এদিকে আমরা বিধানসভার কর্মিসম্মেলন করে ফেলেছি। এখন ওয়ার্ডভিত্তিক কর্মিসভায় কাজ চলছে পুরোদমে। ভোটের লড়াইয়ের জন্য আমরা তৈরি।
দমদম-১ শহর তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি জনি দাস বলেন, যত বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে যাওয়া যায় ততই ভালো। সেই লক্ষ্যেই আমরা দেওয়াল লেখার কাজ জোর কদমে চালাচ্ছি। ওয়ার্ডভিত্তিক জনসংযোগ বাড়ানোর কাজও চলছে।