রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
এদিন প্রথমে ব্রিগেড যাওয়াকে কেন্দ্র করে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয় ভাঙড়। বিজেপি কর্মী সমর্থকদের পথ আটকানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। পাল্টা বিজেপির বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলেছে তৃণমূলও। দু’পক্ষের সংঘর্ষে গুরুতর জখম হয়েছেন তিনজন। প্রত্যেকেই স্থানীয় নলমুড়ি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ভাঙড় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে দু’পক্ষই। ঘটনার জেরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্রিগেডে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভায় যোগ দিতে অন্যান্য জায়গার মতো ভাঙড় থেকেও বিজেপি কর্মী সমর্থকরা বাস এবং অন্যান্য গাড়িতে করে রওনা দেন। কিন্তু স্থানীয় সাকসা গ্রামের কাছে ঘটে বিপত্তি। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত একদল দুষ্কৃতী এসে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের পথ আটকায়। ব্রিগেডে না গিয়ে বাড়ি ফিরে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেয়। আর তাতেই দু’পক্ষের মধ্যে তুমুল বাদানুবাদ শুরু হয়। কথা কাটাকাটি চলতে চলতে আচমকা দু’পক্ষই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। নিমেষে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। ঘটনায় গুরুতর জখম হয় তিনজন। এদের মধ্যে একজন তৃণমূল কর্মী ও দু’জন বিজেপির কর্মী বলে জানা গিয়েছে। গুরুতর জখম অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করে নলমুড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে চলে আসে ভাঙড় থানার পুলিস।
অন্যদকে, এদিন বিকেলে গাছতলা এলাকায় ভোটের জন্য দেওয়াল লিখনের কাজ করছিলেন আইএসএফ কর্মী সমর্থকরা। অভিযোগ সেই সময় এক তৃণমূল নেতার নির্দেশে আইএসএফ কর্মী সমর্থকদের উপর চড়াও হয় কয়েকজন। এমনকী লাঠি ও রড দিয়ে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ওঠে। এরপর দু’পক্ষই নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ঘটনায় গুরুতর জখম হন ৭ জন। এদের মধ্যে ৫ আইএসএফ কর্মী এবং ২ জন তৃণমূলকর্মী। প্রত্যেককেই উদ্ধার করে নলমুড়ি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে ভাঙড় থানার বিশাল পুলিস বাহিনী চলে আসে ঘটনাস্থলে। পরে দু’পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় টহল দিচ্ছে বিশাল পুলিস বাহিনী।