পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
মেয়ের মায়ের অভিযোগ ছিল, মেয়েকে অপহরণ করে যৌন নির্যাতন চালিয়েছিল অভিযুক্ত ছোটকা দাস। তদন্ত চলাকালীন ওই কিশোরী বিচারকের কাছে গোপন জবানবন্দিতে উল্টো বয়ান দেয়। সে বলে, ছোটকাকে বিয়ে করার পর তারা পালিয়ে গিয়ে উঠেছিল এক আত্মীয়ের বাড়িতে। তারা স্বামী-স্ত্রী সম্পর্কের উপর ভিত্তি করেই দিন কাটাচ্ছে। প্রায় সাড়ে ১৭ বছরের ওই কিশোরী বিচারকের সামনে বলে, তাদের মধ্যে একাধিকবার শারীরিক মিলন হয়েছে।
একই মামলায় দুটি ভিন্ন মত উঠে আসায় বিচারক ওই যুবককে বেকসুর খালাসের নির্দেশ দেন। ছোটকার আইনজীবী রবিউল হক বলেন, আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। কোর্টের রায়েই তা প্রমাণিত। অন্যদিকে, এ প্রসঙ্গে সরকারি আইনজীবী বিবেক শর্মার মন্তব্য, আমরা আমাদের বক্তব্য কোর্টের কাছে তুলে ধরেছিলাম। কিন্তু আদালত কাউকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিলে আমাদের কিছু করার নেই। তবে এটা ঠিক যে, যখন ওই কিশোরীকে বিয়ে করা হয়েছিল, তখন সে নাবালিকা ছিল।
গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর রাতে বেলেঘাটা মেইন রোডের বাসিন্দা ওই কিশোরীকে খুঁজে না পেয়ে তার মা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। পরে তিনি তাঁর মেয়েকে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগ আনেন ছোটকা দাস নামের ওই যুবকের বিরুদ্ধে। সেই মর্মে পুলিস অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অপহরণ, ধর্ষণ ও পকসো আইনে মামলা দায়ের করে। কিশোরী ও অভিযুক্ত যুবক খুঁজে বের করতে প্রথমে নাজেহাল হয় বেলেঘাটা থানার পুলিস। পরে দুই পরিবারের সঙ্গে কথা বলে পুলিস জানতে পারে, তারা মুকুন্দপুরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে রয়েছে। সেখান থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার করা হয় যুবককে। পুলিস জানতে পারে, ঘটনার দিন রাতে ছোটকা ওই কিশোরীকে নিয়ে নিমতলার ভূতনাথ মন্দিরে গিয়েছিল। সেখানে বিয়ের পর তারা গিয়ে ওঠে মুকুন্দপুরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে। দাম্পত্য জীবনের শুরু সেখান থেকেই। মামলায় অসঙ্গতি কেন? প্রথমত, বিভিন্ন সাক্ষীর বয়ানে রয়েছে একগুচ্ছ অসঙ্গতি। দ্বিতীয়ত, ওই কিশোরী কোর্টে এক কথা বললেও গোপন জবানবন্দিতে অন্য কথা বলে। এজলাসে দাঁড়িয়ে সে বলেছিল, ঘটনার দিন পড়াশোনা নিয়ে মায়ের সঙ্গে ঝগড়া হয়। তারপরই সে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। রাস্তায় ওই যুবকের সঙ্গে দেখা হয়। ছোটকা তাকে বাড়িতে ফেরাতে চেয়েছিল। কিন্তু সে যায়নি। তৃতীয়ত, সিজার লিস্ট নিয়েও গাফিলতি ছিল। চতুর্থত, কিশোরীর মা যে অপহরণের অভিযোগ এনেছিলেন, তা প্রমাণিত হয়নি কোর্টে। সব মিলিয়ে এই মামলায় অভিযোগের সারবত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। যে কারণে মামলা থেকে রেহাই পায় ছোটকা।