বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
শ্যামপুরের বাঁকবড়িয়ার বাসিন্দা মায়া চক্রবর্তীর যখন তিন বছর বয়স, তখন তাঁর পোলিও রোগ ধরা পড়ে। ছোট শিশুর চলাফেরার সমস্যায় মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে মায়ার মা-বাবার। মেয়েকে কোলে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করেও হাঁটাচলার সমস্যার উন্নতি না হওয়ায়, সাত বছর বয়সে মেয়েকে উলুবেড়িয়ার আশা ভবন সেন্টারে নিয়ে আসেন মা-বাবা। তারপর থেকেই মায়ার সংগ্রাম শুরু। সেন্টারে থাকাকালীন ফিজিওথেরাপির পাশাপাশি আধিকারিকদের সহয়তায় মায়া নতুন আলোর দিশা দেখতে পান। আস্তে আস্তে হাঁটার চেষ্টার পাশাপাশি পড়াশোনা চালাতে থাকেন মায়া। মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার পর নিজের চেষ্টায় নার্সিং ট্রেনিং পাশ করেন। বর্তমানে একজন সফল নার্স হিসেবে আশা ভবনে কর্মরত মায়া। মায়ার এই সাফল্যের জেরে রাজ্য সরকার এই বছর মায়াকে স্টেট অ্যাওয়ার্ড রোল মডেল দিয়েছে।(মায়ার পাশাপাশি পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাটের বাসিন্দা পুতুল মাইতিও জন্মের পর থেকে পোলিও রোগে আক্রান্ত। প্রায় ৯০ শতাংশ শারীরিক প্রতিবন্ধকতার জন্য হামাগুড়ি দিয়েই জীবনের প্রথম আট বছর কাটিয়ে দেয় সে। পুতুলের মা-বাবাও বিভিন্ন জায়গায় মেয়েকে নিয়ে ঘোরাঘুরি করে শেষে আসেন আশা ভবন সেন্টারে। সেন্টারে আসার পরে নিজের শারীরিক অক্ষমতার কথা ভেবে সে ভেঙে না পড়ে লড়াই শুরু করে। সারাদিন হুইল চেয়ারে বসে বিভিন্ন কাজের পাশাপাশি পড়াশোনা চালিয়ে যেতে থাকে পুতুল। মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিকের পর এডুকেশনে ডিপ্লোমা করে বর্তমানে পুতুল বিশেষভাবে সক্ষমদের একজন বিশেষ শিক্ষিকা।
শ্যামপুরের বছরির পূর্ণিমা দোলুইও ছ’মাস বয়সে পোলিও রোগে আক্রান্ত হয়। ছোট শিশু হাঁটতে না পারায় পরিবারে অন্ধকার নেমে এসেছিল। যদিও আশা ভবন সেন্টারে আসার পর নতুন করে বাঁচার পথ দেখতে পায় পূর্ণিমা। এখানে থাকাকালীন পূর্ণিমা নিজের পায়ে হাঁটতে শেখার পাশাপাশি স্নাতক হন। বতমানে তিনি একজন সফল ডেটা এন্ট্রি অপারেটার হিসেবে কর্মরত।