কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
বারুইপুর পূর্ব বিধানসভায় প্রবীণ বিধায়ক নির্মল মণ্ডলের জায়গায় প্রার্থী হয়েছেন যুব নেতা তথা ব্লকের আইএনটিটিইউসি সভাপতি বিভাস সর্দার। এই আসনে টিকিট পাওয়া নিয়ে দলের কর্মীদের মধ্যে আগে থেকেই একটা চাপা উত্তেজনা ছিল। দলের এক অংশ চাইছিল, নতুন মুখ হিসেবে কেউ উঠে আসুন। ভোট ময়দানে নেমেই বিভাসবাবু শনিবার ছুটে গিয়েছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক নির্মল মণ্ডলের কাছে। নিয়েছেন তাঁর আশীর্বাদ। তারপরেই কর্মীদের নিয়ে নেমে পড়েছিলেন দেওয়াল লিখনে। তাঁকে ঘিরে যুবকদের ঢল নেমেছিল। কেউ প্রার্থীকে পেয়ে সেলফি তুলেছেন, কেউবা অভিনন্দন জানিয়েছেন। এদিন বিভাসবাবু বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশীর্বাদ নিয়েই ভোটে নামা। মানুষের পাশে থেকে উন্নয়নের কাজ করতে চাই সবাইকে নিয়ে। এদিকে, ভালো ফলের আশায় ক্যানিং পশ্চিমের প্রার্থী পরেশ দাস শনিবার বেনারসে গিয়ে কাশী বিশ্বনাথের মন্দিরে পুজো দেন। তিনি ফোনে জানান, মঙ্গলবার থেকেই জোরদার প্রচারে নামব। গোসাবার প্রার্থী বিদায়ী বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর এদিন কর্মী বৈঠকের পাশাপাশি জনসভা করে জনসংযোগের কাজ সারলেন। সভাতে কর্মীদের ভিড় ছিল উল্লেখ করার মতো। প্রসঙ্গত, প্রার্থী ঘোষণার আগেই তিনি দেওয়াল লিখনের পাশাপাশি জনসংযোগে নেমে পড়েছিলেন। একই কর্মসূচি নিয়েছিলেন জয়নগরের প্রার্থী বিদায়ী বিধায়ক বিশ্বনাথ দাস। কর্মীদের নিয়ে বুথ বৈঠক করেই প্রথম পর্বের প্রচারের কাজ সারলেন তিনি। কুলতলির প্রার্থী গণেশ মণ্ডলও ব্যস্ত ছিলেন কর্মী বৈঠক নিয়ে।
এদিকে, জয়নগর ও কুলতলিতে যুব অনুগত প্রার্থী হওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন জয়নগরের তৃণমূল নেতা গৌর সরকার, কুলতলি ব্লক তৃণমূল সভাপতি গোপাল মাঝি। এদিন তাঁরা এর প্রতিবাদে চরম সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন। সোনারপুর উত্তরের প্রাক্তন বিধায়ক প্রার্থী ফিরদৌসি বেগম কর্মিসভার পাশাপাশি জনসভার মাধ্যমে জনসংযোগের কাজ সারলেন। সভায় ছিলেন দলের জেলা সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী। এবার ক্যানিং পশ্চিম কেন্দ্রের পরিবর্তে বাসন্তী বিধানসভায় প্রার্থী করা হয়েছে শ্যামল মণ্ডলকে। তিনি বলেন, দলনেত্রী নিজে ফোন করে যুদ্ধে নামতে বলেছেন। দেওয়াল লিখনের পাশাপাশি বুথ মিটিং শুরু করে দিয়েছি।