বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
করোনা পরিস্থিতি কঠিন থাকার সময় পিজিতে দু’টি বেডের মধ্যে দূরত্ববিধি বজায় রাখতে প্রায় ৬০০ শয্যা কমানো হয়েছিল। পরিস্থিতির যতই উন্নতি হয়েছে, দূরত্ববিধির ওই কড়াকড়ি কমেছে, বা বলা ভালো, কমাতে বাধ্য হয়েছে কর্তৃপক্ষ। তার মধ্যে আবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, এন আর এস মেডিক্যাল কলেজে পৃথক করোনা হাসপাতাল রয়েছে। ন্যাশনাল মেডিক্যাল এবং আর জি কর-এ করোনা সন্দেহে ভর্তি রোগীদের জন্য রয়েছে আইসোলেশন ওয়ার্ড। ফলে পিজি’র উপর উত্তরোত্তর চাপ বেড়েছে। এখন হাসপাতালে একেবারে ‘ঠাঁই নাই’ অবস্থা। সারা রাজ্য থেকে রেফার হওয়া রোগীদের বড় অংশই এখানকার বিভিন্ন ইন্ডোরে ভর্তি। তাঁদের জন্য এইসব জীবনদায়ী ওষুধ চাওয়া হলেও সিংহভাগ ক্ষেত্রে মিলছে না। ফলে রোগীর বাড়ির লোকজন ও চিকিৎসক- দু’তরফেই উদ্বেগ বাড়ছে।
এই এক ডজন অমিল বা যৎসামান্য পাওয়া ওষুধগুলি হল—১. সিফোপেরাজোন ইঞ্জেকশন ২. সিফোপেরাজোন সালব্যাকটাম ইঞ্জেকশন ৩. অ্যামক্সিক্ল্যাভ ইঞ্জেকশন ৪. ভ্যানকোমাইসিন ৫. ল্যাকটিউলোজ সিরাপ ৬. এনিমা ৭. কেসিএল সিরাপ ৮. এনোক্সাপেরিন ইঞ্জেকশন ৯. ন্যাপ্রোক্সেন ট্যাবলেট ১০. মেরোপেনাম ইঞ্জেকশন. ১১. অ্যালবুমিন ইঞ্জেকশন এবং ১২. সিফোট্যাক্সিম ইঞ্জেকশন। এর মধ্যে ল্যাকটিউলোজ সিরাপ, এনিমা ও ন্যাপ্রোক্সেন বাদে সবগুলিই জীবনদায়ী।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সিফোপেরাজোন, সিফোপেরাজোন সালব্যাকটাম, অ্যামক্সিক্লেভ, ভ্যানকোমাইসিন, সিফোট্যাক্সিম- এগুলি সবই জরুরি অ্যান্টিবায়োটিক। প্রথম দুটিকে তৃতীয় প্রজন্মের অ্যান্টিবায়োটিক বলা হয়। ল্যাকটিউলোজ, এনিমা পেট পরিষ্কার করার ওষুধ বা পারগেটিভ। সাধারণভাবে জীবনদায়ী নয়। প্রয়োজনীয় বলা যায়। কিন্তু বিভিন্ন জটিল অসুখে এই দুটি ওষুধই রোগীকে অনেকটা স্বস্তি দিতে পারে।
কেসিএল হল পটাশিয়াম ক্লোরাইল ইঞ্জেকশন। দরকার পড়ে সুগার বা হার্টের রোগীদের জীবনদায়ী সমস্যায়। ন্যাপ্রোক্সেন নন স্টেরয়েডাল ব্যথা কমানোর ওষুধ। মাইগ্রেন ও বিভিন্ন ধরনের মাথাব্যথায় অত্যন্ত জনপ্রিয় এটি। মেরোপেনাম জীবনদায়ী ইঞ্জেকশন। ইমিউনিটি সংক্রান্ত অসুখ, রক্তের নানা রোগ ও পোড়া রোগীদের চিকিৎসায় অ্যালবুমিন নতুন জীবন দান করতে পারে রোগীকে।