বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
হুগলিতে একাধিক চমক রেখেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হুগলির উত্তরপাড়া আসন থেকে অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক, বলাগড় আসন থেকে দলিত সাহিত্যিক মনোরঞ্জন ব্যাপারিকে প্রার্থী করা হয়েছে। তারকা প্রার্থীর তালিকায় উল্লেখযোগ্য নাম সুজাতা মণ্ডল খাঁ। তাঁর স্বামী বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। সম্প্রতি বিজেপির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে তৃণমূলে এসে সাড়া ফেলে দিয়েছেন তিনি। ওই দমদার নেত্রীকে আরামবাগ আসনে প্রার্থী করা হয়েছে। সেখানকার বর্তমান বিধায়ক কৃষ্ণ সাঁতরা তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন। বাদের তালিকায় আরেকটি উল্লেখযোগ্য নাম হল সিঙ্গুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। বয়সের কারণে তাঁকে এবার টিকিট দেওয়া হয়নি। তাঁর জায়গায় প্রার্থী করা হয়েছে সিঙ্গুর আন্দোলনের আরেক মুখ বেচারাম মান্নাকে। বেচাবাবুর হরিপাল আসনে টিকিট পেয়েছেন তাঁর স্ত্রী করবী মান্না। প্রাক্তন সাংসদ রত্না দে নাগকে পাণ্ডুয়া আসনে প্রার্থী করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রথম বিধানসভা ভোটে প্রার্থী হয়েছেন দলের জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব, যুবনেতা অরিন্দম গুঁইন, নাজিবুল করিম, রামেন্দু সিংহ রায়। তাঁরা যথাক্রমে পুরশুড়া, চাঁপদানি, খানাকুল ও তারকেশ্বর থেকে লড়বেন। তিন প্রাক্তন মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত, অসীমা পাত্র, ইন্দ্রনীল সেন এবং বাকি বিধায়করা তাঁদের পুরনো আসনেই লড়বেন।
হাওড়ার ছ’টি বাদে সব আসনেই নতুন মুখ আনা হয়েছে। চর্চায় থাকা ডোমজুড় আসনে দলের পুরনো নেতা কল্যাণ ঘোষ, বালিতে চিকিৎসক রাণা চট্টোপাধ্যায়, জগৎবল্লভপুরে জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ সীতানাথ ঘোষকে প্রার্থী করা হয়েছে। মধ্য হাওড়া থেকে এবারও লড়বেন মন্ত্রী অরূপ রায়। শিবপুর কেন্দ্রে তারকা প্রার্থী হিসেবে লড়বেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার মনোজ তেওয়ারি। সেখানকার বিধায়ক জটু লাহিড়িকে বয়সের কারণেই এবার প্রার্থী করা হয়নি। উলুবেড়িয়া পূর্ব কেন্দ্রে এবার তৃণমূল প্রার্থী ফুটবল তারকা বিদেশ বসু। তবে দলের একাংশ কোনও ভূমিপুত্রকে টিকিট দেওয়ার দাবি তুলেছে। প্রাক্তন মন্ত্রী লক্ষ্মীরতন শুক্লার পরিবর্তে উত্তর হাওড়ায় তৃণমূল প্রার্থী করেছে হাওড়া পুরসভার প্রাক্তন মেয়র পারিষদ গৌতম চৌধুরীকে। অন্যদিকে, সাঁকরাইলের বিধায়ক শীতল সর্দারের জায়গায় প্রার্থী করা হয়েছে জেলা পরিষদের নেত্রী প্রিয়া পালকে।