পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
রানিয়া অঞ্চলের এক স্কুল শিক্ষক বললেন, বেসরকারি বাসের ক্ষেত্রেও একই কথা বলা যায়। তারাতলা থেকে বুড়ুল পর্যন্ত যেত বেসরকারি বাস ডিএস ২। কিন্তু কিছুদিন চলার পর সেটিও বন্ধ হয়ে যায়। কেন বন্ধ হল, তার কোনও কারণ জানা যায়নি। ফলে গঙ্গা তীরবর্তী এই তল্লাট থেকে কলকাতা যেতে হলে ট্রেকারে বাদুরঝোলা হয়ে অথবা অটো করে ভেঙে ভেঙে যেতে হয়। একই অবস্থা হয় তারাতলা বা ধর্মতলা থেকে এখানে আসার ক্ষেত্রেও। সবেধন নীলমণি বলতে একটিমাত্র রুট। ৭৫ নম্বর বাস। তাও হাতেগোনা বাস নিয়ে ঢিমেতালে চলছে এই রুট। সকালের দিকে আধ ঘণ্টা অন্তর বাসের দেখা পেলেও দুপুরের পর বাস পাওয়া ভাগ্যের দরকার। ফলে দ্রুত যাওয়ার তাড়া থাকলে ছোট গাড়ি বা একাধিকবার গাড়ি পাল্টে বেশি খরচ করে যেতে হয়।
বজবজ ২নং পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি বুচান বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবহণের এই সমস্যার কথা স্বীকার করে বলেন, বাম আমল থেকেই এই এলাকার মানুষ বঞ্চিত। তখন এই সাতগাছিয়া থেকে ভোটে দাঁড়াতেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু। তিনি দীর্ঘদিন এখান থেকে নির্বাচিত হলেও পরিবহণের হাল ফেরেনি। বর্তমান প্রশাসনের কাছে একাধিকবার দরবার করার পর অবশেষে কয়েকদিন আগে বুড়ুল থেকে ভূতল পরিবহণ নিগমের বাস চালু হয়েছে। এটি বুড়ুল, ডোঙারিয়া, গজাপোয়ালি, ডি রায়পুর, সাতগাছিয়া, সাউথ বাওয়ালি, নর্থ বাওয়ালি, চড়িয়াল হয়ে বজবজ ট্রাঙ্ক রোড ধরে সোজা তারাতলায় এসে পড়ে। তারপর খিদিরপুর ঘুরে দ্বিতীয় হুগলি সেতু পেরিয়ে হয়ে শেষ হচ্ছে সাঁতরাগাছি স্টেশনে। সরকারিভাবে এই রুটে ২০টি বাস চালানোর অনুমোদন পেলেও আপাতত তিন-চারটি বাস চলছে। আমরা বুড়ুল থেকে বাখরাহাট, ঠাকুরপুকুর হয়ে ধর্মতলা পর্যন্ত আরও একটি বাসের দাবি জানিয়েছি। যদি এই রুট অনুমোদন হয়, তাহলে যাতায়াতের সমস্যা অনেকটাই মিটে যাবে।