নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ওরা সত্যিই শুনতে পারবে, কথা বলতে পারবে—ভাবতেই পারেননি বহু অভিভাবক। তাই বুধবার পিজি হাসপাতালে যখন ওরা আবৃত্তি করল, কথা বলল, চোখে জল এসে গিয়েছিল বাবা-মায়েদের। এদিন বিশ্ব শ্রবণ দিবস-এ গত পাঁচ বছরে ককলিয়ার প্রতিস্থাপন হওয়া বাচ্চাদের সংবর্ধনার আয়োজন করেছিল পিজি’র ইএনটি বিভাগ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রত্যুষা ভৌমিক, হাওড়ার শুভায়ন নন্দী, বসিরহাটের তাহসিনা খাতুনের মতো কচিকাঁচারা নতুন পাওয়া ককলিয়া বা অন্তঃকর্ণের দৌলতে শুনতে পারছে, কথাও বলতে পারছে। এদিন বড় বড় ডাক্তারবাবুর হাত থেকে পুতুল, ক্রেয়ন, ছবি আঁকার খাতা নিয়ে কী আনন্দ তাদের! চাষবাস, দিনমজুরের কাজ, শিক্ষকতা, বেসরকারি সংস্থায় কাজ ইত্যাদি নানা ধরনের পেশায় যুক্ত বাবা-মায়েদের সঙ্গে এদিন এসেছিল এমন ৪৫টি বাচ্চা।
পিজি সূত্রের খবর, ২০১৬ সালে এখানে বিনামূল্যে অন্তঃকর্ণ প্রতিস্থাপন শুরু হয়। তারপর থেকে এখনও পর্যন্ত পাঁচ বছরে ৬৭টি বাচ্চার ককলিয়া প্রতিস্থাপন হয়েছে। বাইরে এই অপারেশনের খরচ ১০ লাখের বেশি। নতুন যন্ত্রে কমবেশি সবাই শুনতে পারছে। বলতে পারছে ৯০ শতাংশ বাচ্চা। এদিন কথা বলা ও শোনার জগতের এইসব নতুন অতিথিরা প্রাণের আনন্দে আবৃত্তি করল অনুষ্ঠানে। উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম, পিজি অধিকর্তা ডাঃ মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায়, বিশিষ্ট ইএনটি চিকিৎসক ডাঃ অরুণাভ সেনগুপ্ত প্রমুখ।