কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
মহেশতলা-ঠাকুরপুকুর ব্লকের গ্রামীণ এলাকা চটা গ্রাম পঞ্চায়েত। চটার এই ইটের রাস্তাটি শানপুকুর মোল্লাপাড়া থেকেই খারাপ। বামফ্রন্ট সরকার থাকার সময় গ্রামের লোকজন টাকা দিয়ে আড়াই কিলোমিটার ওই রাস্তা মাটি ফেলে উঁচু করে। এরপর তৎকালীন সিপিএম পরিচালিত চটা পঞ্চায়েত থেকে ইট পেতে দেওয়া হয়। গ্রামের মানুষের কথায়, তাও ২৫ বছর আগে ইট পাতা হয়েছিল। তারপর একাধিকবার পঞ্চায়েত কখনও সিপিএম, কখনও কংগ্রেস ক্ষমতা দখল করেছে। কিন্তু পঞ্চায়েতে ক্ষমতা পরিবর্তন হলেও ইটের রাস্তার হাল ফেরেনি। ওই রাস্তাটি সোজা আশুতি গ্রাম পঞ্চায়েতের অফিসের পাশ দিয়ে চলে গিয়েছে। রাস্তার উভয়দিকে জলা আর ধান খেত। বর্ষার সময় সেই জল জমে রাস্তা প্লাবিত হয়। তার জেরে ইটের রাস্তা আরও খারাপ হয়ে গিয়েছে। এলাকার ১০টি পাড়ার কয়েক হাজার মানুষ চটা ও ময়নাগড় যাওয়ার জন্য এই রাস্তা ব্যবহার করে। কারণ, ময়নাগড় দিয়ে মহেশতলা ও ধর্মতলা যেতে অনেক কম সময় লাগে। কিন্তু তা সব সময় সম্ভব হচ্ছে না। কারণ, রাস্তার অর্ধেক ইট উঠে গিয়েছে। কোথাও কোথাও তা এতটাই অসমান হয়ে গিয়েছে যে, মোটরবাইক, সাইকেল এবং ভ্যানে করে যাওয়াও অসম্ভব হয়ে পড়েছে। যে কোনও সময়ে উল্টে যাওয়ার সম্ভবনা। ফলে প্রায় দু’ কিলোমিটার ঘুরে স্কুল কিংবা হাসপাতালে যেতে হচেছ। বিশেষ করে রাতে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে এই জায়গা থেকে হাসপাতালে পৌঁছতে কালঘাম ছুটে যায়।
বিজেপির ডায়মন্ডহারবার সাংগঠনিক জেলা সভাপতি উমেশ দাস বলেন, ওই রাস্তা অনেকদিন ধরে ঠিক করা হয়নি। অনেকবার বলা হয়েছে, কিন্তু কিছুই হয়নি। বিধায়ক দিলীপ মণ্ডল বলেন, ওই জায়গাতে সব রাস্তা ঢালাই হচেছ। শানপুকুরের চটা থেকে আশুতি যাওয়ার ইটের রাস্তাটি করার জন্য অনেক আগে থেকে পঞ্চায়েতে দেওয়া আছে। অনেকগুলি রাস্তার কাজ একসঙ্গে হচ্ছে বলে একটু দেরি হচেছ। এর ভিতর ভোট ঘোষণার জন্য কাজ আটকে গিয়েছে।